কলকাতা: উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন প্রচুর মানুষ (Bengal Politics)। এই বন্যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনাও কম হয়নি। তবে এবারে বিজেপির কাঠগড়ায় রাজ্যের প্রশাসন এবং তাদের কর্মকান্ড। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বন্যা নিয়ে পুলিশের কোনও উদ্বেগ নেই তারা ব্যস্ত তৃণমূলের পতাকা ঠিক করে লাগানো আছে কিনা তা নিয়ে।
কারণ সেদিন ই মমতা বন্দোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন “মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের দুঃসময়ে কার্নিভালের উৎসব উদযাপনে নির্বিকার নৃত্যে মেতে থাকা হীরক রানী এখন পাহাড়ে প্রমোদ ও বিলাসবহুল অবসর যাপনের ঝটিকা সফরে যাবেন।”
অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান! পুলিশের গুলিতে মৃত ১১
“ওনার পুলিশ বাহিনী কে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে অথবা তার পরের দিন মাঠে ময়দানে খুঁজে পাওয়া যায় নি, সেই তারাই হীরক রানীর সফরের আগে ওনাকে স্বাগত জানাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ঠিক ঠাক ভাবে লাগানো হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে ব্যস্ত !!! শুভেন্দুর এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ বলেছেন পুলিশের কাজ করবার সদিচ্ছা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে তাদের দম ফেলার সময় নেই।
তার তদারকিতেই ব্যাস্ত প্রশাসন। এখন ত্রাণ হয়ে গিয়েছে গৌণ। আবার অনেকেই বলেছেন বন্যা ত্রাণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন শংকর ঘোষ এবং খগেন মুর্মু। রক্তাক্ত অবস্থায় এখনও তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তখন কোথায় ছিল প্রশাসন ? শুভেন্দু তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরও অভিযোগ করেছেন “প্রকৃতির রোষে সব হারানো মানুষগুলির প্রতি দায়বদ্ধতা বা পরিষেবার বেলায় মমতা পুলিশের অবদান লবডঙ্কা।
পরিত্রাতা হিসেবে পাশে ছিল এনডিআরএফ (NDRF) ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। আসলে এই পুলিশের তৃণমূলীকরণ হয়ে গিয়েছে, পুলিশ এখন সম্পূর্ণভাবে শাসকের দলদাস ক্যাডারে পরিণত হয়েছে।” শুভেন্দুর এই মন্তব্যে সিংহভাগ মানুষ তাদের প্রতিক্রয়া জানিয়ে বলেছেন রাজ্যের প্রশাসন এখন সম্পূর্ণ দলদাস। তৃণমূল সুপ্রিমোর তদারকিতে ব্যস্ত প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অত্যন্ত গৌণ ব্যাপার।
তা নাহলে বিরোধী দলের দুই নেতাকে এইভাবে আক্রান্ত হতে হয় ? আবার অনেকেই তাদের মত প্রকাশ করে বলেছেন রাজ্য সরকারের কুমিরের কান্নায় মানুষ আর ভুলবে না তারা সরকারের এই তঞ্চকতার মানে বুঝে গিয়েছে যার প্রতিফলন ঘটবে আগামী নির্বাচনে।