পটনা: পূর্ণিয়া থেকে নির্বাচিত স্বাধীন সাংসদ পাপ্পু যাদব সম্প্রতি এক প্রকাশ্য বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “উপেন্দ্র কুশওয়া নিজেই স্বীকার করেছেন যে (এনডিএ) জোটে সব কিছু ঠিকঠাক নয়।
নীতিশ কুমার শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, এবং জনগণের সামনে প্রকাশ্যে এসেছে যে বিজেপি কতটা লোভী। জনগণ বুঝতে পেরেছে যে বিজেপি মূলত নিথিশ কুমারকে সরানোর ষড়যন্ত্রে রয়েছে।”
ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান, ডার্বির অপেক্ষায় যুবভারতী
পাপ্পু যাদবের এই মন্তব্য রাজনীতির মূল ক্ষেত্রকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, শুধু জোটের ভেতরের দ্বন্দ্বই নয়, জনগণের সামনে আসা রাজনৈতিক সত্যিকারের চিত্রও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি বিজেপির আচরণকে “লোভী ও প্রয়োগকৃত” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা রাজনৈতিক জোটের স্থায়িত্ব ও সরকারের স্থিতিশীলতার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
উপেন্দ্র কুশওয়ারার বক্তব্যের উল্লেখ করে পাপ্পু যাদব বলেন, জোটের অভ্যন্তরে যে সমস্যা রয়েছে তা গোপন রাখা সম্ভব নয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যই প্রমাণ করছে যে, রাজনৈতিক জোটের মধ্যে শক্তি সমীকরণ নিয়ে বড় ধরনের অমিল দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নীতিশ কুমার তার সুস্থতার ব্যাপারে জনগণকে নিশ্চিত করেছেন। এর অর্থ হলো, নিথিশ কুমারের ক্ষমতা বা স্বাস্থ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো ভিত্তি নেই। তবে বিজেপির প্রভাবশালী পদক্ষেপ এবং জোটের ভেতরের ষড়যন্ত্র জনগণের নজরে এসেছে।
পাপ্পু যাদবের বক্তব্য অনুযায়ী, বিজেপি শুধু জোটের অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নেতৃত্বের দখল নিতে তারা যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। “জনগণ বুঝতে পেরেছে যে বিজেপি মূলত নীতিশ কুমারকে সরানোর পরিকল্পনা করেছে,” তিনি বলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বাধীন সাংসদদের মতামত ও জোটের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন আগামী নির্বাচনী পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যদি জোটে বড় ধরনের অমিল প্রকাশ্যে আসে, তা ভোটারের মনোভাবকে পরিবর্তিত করতে পারে।
পূর্ণিয়া থেকে নির্বাচিত পাপ্পু যাদবের এই মন্তব্য প্রকাশ করেছে যে, রাজনৈতিক জোটে শুধু ক্ষমতার ভাগাভাগি নয়, নেতৃত্বের স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জনগণকে সচেতন করতে এবং জোটের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতে এই মন্তব্য করেছেন।
সব মিলিয়ে, পাপ্পু যাদবের বক্তব্য কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন আলো ফেলে দিয়েছে। বিজেপি ও জোটের অন্যান্য দলগুলি এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেবে তা এখন নজর কাড়ে। রাজনৈতিক সমীকরণ এবং জোটের স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে ভবিষ্যতের পদক্ষেপ এবং জনগণের প্রতিক্রিয়ার ওপর।