নয়াদিল্লি: ভারতের রাজনৈতিক ময়দানে ফের চমক। সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের উপনির্বাচনের ফলাফল এখনও তাজা মনে থাকলেও, বিজেপির কৌশলগতকারীদের সর্বশেষ অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স)-কে প্রায় ১৩৫টি আসনে বড় মার্জিনে জয়ী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং আরও ২৫টি আসনে ক্লোজ লড়াইয়ের মাধ্যমে সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অনুমান যেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৈরি, যেখানে এনডিএ ২৯৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও বিজেপি একা ২৪০-এ থেমে গিয়েছিল। এবারের এই প্রজেকশন মহারাষ্ট্রের ২৮ আসনের উপনির্বাচনকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যা রাজ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্যকে নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই তথ্য নিয়ে আলোচনা করছে, যা আসন্ন নির্বাচনী কৌশলের ভিত্তি হয়ে উঠবে।
রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারতে কি এবার খাবার কেনা বাধ্যতামূলক? বড় পরিবর্তন আনল IRCTC
এই মূল্যায়নের পটভূমি হলো মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা। ২০২৪-এর লোকসভায় এনডিএ-র মহায়ুতি ১৭ আসন পেয়েছিল, যখন ইন্ডিয়া জোটের মহা বিকাশ আঘাড়ি ৩০টি জিতিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক উপনির্বাচন এবং স্থানীয় জরিপে বিজেপির সংগঠনমূলক শক্তি ফিরে আসছে বলে মনে হচ্ছে। কৌশলগতকারীরা বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের বার্তা এবং স্থানীয় সমস্যা নিয়ে ক্যাম্পেইন এনডিএ-কে ১৩৫টি আসনে ৫-১০ শতাংশের বড় মার্জিন দিচ্ছে।”
এর মধ্যে মুম্বাই, পুনে, নাগপুরের মতো শহুরে আসনগুলি সুরক্ষিত বলে ধরা হয়েছে, যেখানে বিজেপি-শিবসেনা জোটের প্রভাব অটুট। অন্যদিকে, ২৫টি ক্লোজ কনটেস্টের আসনগুলি হলো বিদর্ভ এবং মারাঠওয়াড়ার মতো গ্রামীণ অঞ্চল, যেখানে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই আসনগুলিতে ভোটারদের মধ্যে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং কৃষি সংকট নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যা লড়াইকে কঠিন করে তুলেছে।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুসারে, এই ১৩৫ আসনের মধ্যে বিজেপি একাই ৯০টির উপরে জয়ী হবে, যখন এনডিএ-র মিত্ররা শিবসেনা, এনসিপি (অজিত পাওয়ার গ্রুপ) এবং অন্যান্যরা—বাকিগুলি নেবে। এটি যেন ২০১৯-এর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি, যেখানে এনডিএ ১৫০-এর উপরে আসন পেয়েছিল। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভায় ইন্ডিয়া জোটের আকস্মিক উত্থান যেমন উত্তরপ্রদেশে ৪৩ আসন এবারের অনুমানকেও সতর্ক করে তুলেছে।
একজন বিজেপি নেতা বললেন, “আমরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না। বুথ-লেভেল ক্যাম্পেইন এবং যুবক-মহিলাদের উপর ফোকাস করে এই সংখ্যা বাড়ানো যাবে।” এই প্রজেকশনের ভিত্তি হলো স্থানীয় জরিপ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স এবং অতীতের ভোটার ডেটা, যা দেখাচ্ছে এনডিএ-র সমর্থন ৪৮ শতাংশের উপরে।
