প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের পর চাঞ্চল্যকর দাবিতে চমক NDA -এর

nda-claims-big-win-bihar-elections-phase-one

পটনা: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের পরেই চাঞ্চল্যকর দাবিতে চমক দিল NDA । ১২১টি আসনের এই পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অনুসারে, গোটা জোট মিলে ৬৮টি আসন নিশ্চিতভাবে জিতবে বলে আশা করছে তারা। যা ৮০-এরও উপরে উঠতে পারে। বিজেপি ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩৮-৪০টি এবং জেডিইউ ৫৭টির মধ্যে প্রায় ৪০টি নিয়ে যাবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছে জোটের নেতারা।

Advertisements

এই ‘শক্তিশালী তরঙ্গ’ কথাটি শুধু অভ্যন্তরীণ আলোচনায় নয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে, যা মহাগঠবন্ধনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে ৬৪.৪৬ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণ ঘটেছে, যা এনডিএ-র পক্ষে ইতিবাচক সংকেত বলে মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নির্বাচন, যা দুই পর্যায়ে বিভক্ত প্রথমে ১২১টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২২টি আসন বিহারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণ করবে।

   

শাটডাউনের হাহাকার! ট্রাম্পের দেশে বিমানবন্দরে আটকে লক্ষাধিক যাত্রী

মোট ২৪৩টি আসনের এই লড়াইয়ে এনডিএ (বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি(আরভি), আরএলএম, এইচএএম) বিকাশ এবং সামাজিক কল্যাণের প্রতিশ্রুতিতে লড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “বিহারে পরিস্থিতি খুব ভালো। আমরা আরামদায়ক অবস্থানে আছি এবং ১৬০-এর বেশি আসন জিতব।” এই প্রথম পর্যায়ে সিভিল লাইনস, রামগড়, বেউর, তরাইয়া, অমনৌরের মতো আসনগুলোতে ভোটাররা উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিয়েছে।

বিজেপির উপ-প্রধানমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, যিনি লাখিসরাই থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, বলেছেন, “লোকেরা উন্নয়নের নামে ভোট দিয়েছে। এবার ঐতিহাসিক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এনডিএ সরকার গঠন করবে।” সিট শেয়ারিংয়ের কথা বললে, এনডিএ-র ফর্মুলা অক্টোবর মাসেই চূড়ান্ত হয়েছে। বিজেপি এবং জেডিইউ প্রত্যেকে ১০১টি আসন লড়ছে, এলজেপি(আরভি) ২৯টি, এইচএএম এবং আরএলএম প্রত্যেকে ৬টি করে।

Advertisements

কিন্তু প্রথম পর্যায়ের ১২১টি আসনে এনডিএ-র শেয়ার ভাগ হয়েছে বিজেপি ৪৮, জেডিইউ ৫৭, এলজেপি ১০, এইচএএম ৩ এবং আরএলএম ৩টি করে। অভ্যন্তরীণ সার্ভে অনুসারে, বিজেপির লক্ষ্য ৩৮-৪০টি জয়, যা ২০২০-এর তুলনায় উন্নতি। জেডিইউ-র নেতা বিজয় চৌধুরী বলেছেন, “নিতীশ কুমারের শাসনের ফলাফল লোকের চোখে আছে। আমরা ৪০টির কাছাকাছি যাব।” এলজেপি(আরভি)-র চিরাগ পাসওয়ানের ফ্যাক্টরও গুরুত্বপূর্ণ, যিনি সিমঞ্চলে এবং মিথিলাঞ্চলে ভোট কাড়তে সক্ষম।

প্রথম পর্যায়ের ভোটোদানে ৩.৭৫ কোটি ভোটারের মধ্যে ১.৯৮ কোটি পুরুষ এবং ১.৭৬ কোটি মহিলা অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ফলস্বরূপ ৬৪.৪৬ শতাংশ টার্নআউট হয়েছে, যা ২০২০-এর তুলনায় কম হলেও মহিলা ভোটারদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সুপৌল, ঝাজ্হরপুর, খগড়িয়া, মাধেপুরা এবং আররিয়ায় মহিলাদের উচ্চ অংশগ্রহণ এনডিএ-র পক্ষে কাজ করেছে, যেমনটি ২০২৪-এর লোকসভায় দেখা গেছে। বিজেপি এমপি রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “লোকেরা মনে মনে এনডিএ-কে সমর্থন করেছে।

প্রথম পর্যায়েই তা প্রমাণিত হয়েছে।” অন্যদিকে, আরজেডি-নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন (আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিআই(এমএল), ভিআইপি) অভিযোগ করেছে যে, এনডিএ-র ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। তেজস্বী যাদব, যিনি মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী, রঘুনাথপুর থেকে লড়ছেন এবং বলেছেন, “লোকেরা পরিবর্তন চায়। NDA জোট আর ফিরিয়ে আনতে চায় না।