দুবরাজপুর: মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে পাওয়া গিয়েছিল ভোট প্রকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নাম। এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কলকাতা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে। আজ ফের বঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়াল দুবরাজপুরের কেষ্টগড় কেন্দ্রে। ভোটার তালিকায় নাম নরেন্দ্র মোদীর। খবর পেতেই শুরু হয় তথ্য তালাশ। খুঁজে পেতে দেখা যায় এই মোদী এই সেই মোদী নয়।
ইনি দুবরাজপুরের বাসিন্দা এবং বহু বছর ধরে বংশানুক্রমিক ভাবে দুবরাজপুরের বাস করছেন। কাকতালীয় হলেও তার নিজের দিদির নাম মমতা। দুবরাজপুরের কেষ্টগরের বাসিন্দা নরেন্দ্র মোদী জন্মসূত্রে রাজস্থানের বাসিন্দা এবং তিনি ২১ বছর বয়েস থেকে এই রাজ্যে ভোট দিচ্ছেন। পেশায় ব্যবসায়ী মোদী বলেন সব জায়গাতেই নাম বিভ্রাট হয় মানুষ অবাক হন।
‘মোদী সুন্দরতম, কঠোর নেতা’ বলেও ভারত-পাক যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব দাবি ট্রাম্পের
তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে তিনি নিজেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খুব ভক্ত। দুবরাজপুরের এই বাসিন্দার তিন বোন তার মধ্যে কাকতালীয় ভাবে একজনের নাম মমতা। দুবরাজপুরের এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও হাসির ঢেউ উঠেছে। কেউ লিখেছেন, “বীরভূমের নরেন্দ্র মোদী আর দিদি মমতা এক বাড়িতে রাজনীতির সব দ্বন্দ্ব মিটে যাক ওঁদের কাছ থেকেই শিখে নিক!”
আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “বাংলার মাটিতে সবই সম্ভব, এখানে মোদী আর মমতাও আত্মীয়।” রাজনৈতিক মহলেও ঘটনাটি নিয়ে রসিকতা থামছে না। এক স্থানীয় নেতা বলেন, “এটাই বাংলার রসিকতা এখানে নাম নয়, কাজেই আসল পরিচয়।” যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাকতালীয়, তবু এটি যেন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে একটুখানি হাসির ছোঁয়া এনে দিয়েছে।
কেষ্টগড়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, ভোটের উত্তাপে এমন হালকা মজাই দরকার ছিল। তবে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে বাংলায়। তৃণমূল সরকার বার বার বলেছে তারা SIR বিরুদ্ধে এবং তারা আরও বলেছে যে কেন্দ্র নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার করে বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে NRC করতে চাইছে।
তবে গতকালের প্রশান্ত কিশোরের ঘটনার পরে সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তারা পরিষ্কার বলেছেন যে বাংলায় অবিলম্বে NRC করে ভুয়ো ভোটার বাদ দিতে হবে তা নাহলে ফের বাংলায় দুর্নীতি হবে এবং তা চলতে থাকবে বছরের পর বছর।


