মিলন পণ্ডা ( পূর্ব মেদিনীপুর ) কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের (Nandigram political controversy) মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম বিধানসভা দাঁড়াবেন। ডায়মণ্ড হারবার থেকে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দল চাইলে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারি! তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়। এনিয়ে তমলুক সংগঠনীক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি প্রলয় পাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন ” আমরা তো সেই আশাতে আছি! বাংলা সিনেমায় দেখেন না, অভিনেতা জিৎ দৌড়াচ্ছে, তার পেছন পেছন গুণ্ডারা ধাওয়া করছে। নন্দীগ্রামে এলে প্যান্ট খুলে পেটাবো, গোহারা হেরে বাড়ি যাবে। সে প্যান্ট খোলা নয়, গণতান্ত্রিকভাবে তার পিসি’কে হারিয়ে মাথায় চুলকানি লেপে কালীঘাট পাঠিয়েছি।
‘রাজ্য থেকে ভূত তাড়াতে হবে’! খেজুরি থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এখান থেকে প্যান্ট খুলে গণতান্ত্রিকভাবে কালীঘাট পাঠাবো।নায়ক তো আমরা! আমরা চাইছি অভিষেককে নন্দীগ্রামে বিধানসভা দাঁড়ানোর জন্য। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে প্যান্ট খুলে কালীঘাট পাঠিয়ে দেবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানে নিজে দাঁড়িয়ে হেরেছে, সে একা কেন দোষ নেব। পরিবারের এক সদস্য নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মাথায় চুলকানি লেপে যেন বাড়ি যায় “।
নন্দীগ্রামে বিধানসভায় কত লিড হতে এখন বলা সম্ভব নয়। প্রলয়বাবু বলেন ” একুশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমাদের একটা প্রধান ছিল না। এখন আমাদের একাধিক প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। একদিকে এসআইআর, সংগঠন অন্যদিকে প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্বাচনে বুঝিয়ে দিব নন্দীগ্রামের মানুষ কত লিড দেবো “। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করা প্রসঙ্গে বলেন ” উনি ভুলভাল ফোন করেন। আমরা রাষ্ট্রবাদী। লোভ-লালসা শিকার হইনা। ভুল জায়গায় ফোন করে ফেলেছেন। বিজেপি নেতারা ব্যক্তি স্বার্থ বিশ্বাস করে না “।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রতীকী কেন্দ্র। ২০২১ সালের ভোটে নন্দীগ্রামেই মুখোমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ফলাফল আজও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে লড়লে তা নিঃসন্দেহে আরও বড় রাজনৈতিক সংঘাতের জন্ম দেবে।
বর্তমানে বিজেপি শিবিরে আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট। প্রলয় পালের বক্তব্যে সেই প্রতিফলনই দেখা গেল যে বিজেপির কাছে নন্দীগ্রাম শুধুমাত্র একটি কেন্দ্র নয়, বরং সম্মানের লড়াই। এখন রাজনৈতিক অন্দরের প্রশ্ন অভিষেক সত্যিই কি নন্দীগ্রামে নামবেন? দল তাঁকে কি এই কেন্দ্র থেকে লড়াবে? আর যদি লড়ান, তবে শুভেন্দুর ‘গড়’-এ তৃণমূল কি নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারবে? রাজনীতি উত্তাল, মঞ্চে চড়া সুর, আর নন্দীগ্রাম আবার আলোচনার কেন্দ্রে—এটাই এখন বঙ্গ রাজনীতির বর্তমান ছবি।
