শান্তনু পান, পূর্ব মেদিনীপুর:- চলতি মাসেই কেরলে নির্মাণকাজ চলাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নন্দীগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক ভীমচরণ বারিকের।ভয়তিনি নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।এই ঘটনায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মৃতদেহ কেরল থেকে বিমানে কলকাতায় আনা হয়।
ইতিমধ্যেই মৃত শ্রমিকের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে।পদ্মের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে শাসক দল মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।বিজেপির এলাকা তবুও পাশে নেই বিজেপি নেতারা, তাই স্থানীয়রা চাইছেন নন্দীগ্রামে ও ডায়মন্ড হারবারের মতো চালু হোক সেবাশ্রয়।
রাজনাথের হুঁশিয়ারিতে অস্থির ইসলামাবাদ, ‘ত্রিশূল’ মহড়া ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা
নাগরিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যের অধিকার, এর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে বাড়ছে মেডিকাল ক্যাম্পের চাহিদা, তাদের এলাকার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল ক্যাম্প পেলে খুবই উপকৃত হবেন তারা। তাদের আবেদন অন্যান্য বিভিন্ন পরিষেবার জন্য তারা চাইছেন ডায়মন্ড হারবার মডেলের মতো তাদের এলাকাতেও যেন বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করার কথা ভাবা হয়।
যদিও পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন এই ধরনের সেবা আমি প্রত্যেকদিন করি। সেলোটেপ দিয়ে ইভিএম বন্ধ করতে চাইছে। ১ কোটি টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে না। বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ী তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছে আর ভোটের সময় হলেই মানুষের কাছে গিয়ে মিথ্যা কথা বললে মানুষ বিশ্বাস করবে না।
শুভেন্দুর দাবি, “তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতিতে জড়িত। মানুষের দুঃখে রাজনীতি করছে তারা। ভোটের সময় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই মানুষ আর বিশ্বাস করবে না।” তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নন্দীগ্রামের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এই মানবিক উদ্যোগ রাজনৈতিক বার্তাও বটে। একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক উদ্যোগে শাসকদলের ভাবমূর্তি কিছুটা উজ্জ্বল হয়েছে, অন্যদিকে বিরোধীদের প্রতিক্রিয়াও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।



