দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammad Azharuddin) এবার রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। মাস দু’য়েক আগে তেলেঙ্গানার বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়া আজহার শীঘ্রই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড ইতিমধ্যেই আজহারকে তেলেঙ্গানা ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
২০২৬ ভোটে বাংলার মুখ কে হবেন? জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কংগ্রেসের জন্য একপ্রকার ‘মাস্টারস্ট্রোক’। কারণ বর্তমান তেলেঙ্গানা ক্যাবিনেটে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি নেই। আজহার, যিনি একদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখ, অন্যদিকে গ্রেটার হায়দরাবাদের প্রতিনিধি, সেই শূন্যস্থান পূরণ করবেন। তাছাড়া, সামনে জুবিলি হিলস কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে ভোট বঞ্চিত এলাকায় সমর্থন বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
মাস আগেই আজহার এবং অধ্যাপক এম কোদানদারামকে বিধান পরিষদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর আগে কোদানদারামের মনোনয়ন বাতিল করা হলেও নতুন করে দু’জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজহার আগে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সাংসদও ছিলেন। বিধান পরিষদে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তাঁর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়।
SIR শুরু হতেই বিজেপিতে যোগদান তৃণমূল নেতার!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি ইতিমধ্যেই আজহারকে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্তকে “তোষণের রাজনীতি” হিসেবে আক্রমণ করেছে। পাল্টা কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আজহারকে ক্যাবিনেটে আনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ কংগ্রেসকে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন শক্তি দেবে এবং আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
జూబ్లీహిల్స్ ఉపఎన్నిక నేపథ్యంలో ఒక వర్గం ఓటర్లను ఆకర్షించేందుకు రాష్ట్ర ముఖ్యమంత్రి రేవంత్ రెడ్డి మాజీ క్రికెటర్ మహమ్మద్ అజరుద్దీన్ కి మంత్రి పదవి ఆఫర్ చేసినట్లు మీడియాలో వచ్చిన వార్తలపై బిజెపి తీవ్ర ఆక్షేపణ వ్యక్తం చేసింది.
ఇలాంటి ప్రకటనలు ఎన్నికల ప్రవర్తనా నియమావళికి… pic.twitter.com/X5m3pANdjX
— BJP Telangana (@BJP4Telangana) October 30, 2025
খেলোয়াড়ী জীবনে আজহার এক সময় বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত মুখ ছিলেন। ইডেনে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করা, প্রথম তিনটি টেস্টে শতরান, অফ-স্টাম্পের বল লেগসাইডে পাঠানো এবং স্লিপে পাখির মতো ক্যাচ ধরার মতো ঘটনা এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। তবে ক্রিকেট থেকে রাজনৈতিক মাঠে পা রাখার সিদ্ধান্ত আজহারকে নতুন পরিচয় দিচ্ছে। রাজনীতির এই নতুন অধ্যায়ে, দেশসেরা প্রাক্তন ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তা কংগ্রেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।


