জগন্নাথ অতীত! এবার দার্জিলিঙে মমতার হাত ধরে আসছেন দ্বিতীয় মহাকাল

mamata-banerjee-second-mahakal-darjeeling

দার্জিলিং: ‘রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম’, মমতার হাত ধরে এবার দ্বিতীয় মহাকাল। হ্যা এমনটাই বলে গেলেন শেষ বেলায় মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তর বঙ্গ সফরের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন দার্জিলিঙে দ্বিতীয় মহাকালের মন্দির তৈরী করবেন তিনি। মমতা বলেছেন তিনি দিঘায় জগন্নাথ ধাম তৈরী করেছেন।

Advertisements

রাজারহাটে তৈরী করছেন দূর্গা অঙ্গন। এবার তার ইচ্ছে দার্জিলিঙে আরও একটি মহাকালের মন্দির তৈরী করার। তিনি বলেন এই কাজের জন্য তাকে তৈরী একটি ট্রাস্ট তৈরী করতে হবে। এবং তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এই ট্রাস্ট তৈরির ব্যাপারে নজর দিতে। উত্তর বঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি আরও একবার খতিয়ে দেখতে এবং জলের সমস্যা মেটাতে নাগরাকাটা, চালসা, মাল হয়ে দার্জিলিঙে আসেন মমতা।

মহাকাল মন্দিরের ইতিহাস দেখলে দেখা যায়। ১৭৬৫ সালে এই মহাকাল মন্দির ছিল একটি বৌদ্ধ মনাস্ট্রি, যার নাম ছিল দোর্জে-লিং। ১৭৮৮ সালে গোর্খা সেনারা এই মনাস্ট্রি ধ্বংস করে দেয়। তারপর এই মহাকাল মন্দির তৈরী হয়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই মন্দির হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের সংকৃতি বয়ে নিয়ে চলেছে।

টোটো রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ কবে? কী কী নথিই বা প্রয়োজন?

বুধবার একটি সভা করে বন্যা রোধ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়েও আলোচনা করেন। বন্যার মূল কারণ ভূমিধস এবং তার জন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরী করার কথা বলেন তিনি। এই বক্তব্যের পারেই অবশ্য রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সমালোচনায় সরব হন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রসিকতা করে মমতাকে ভূগোল এবং বোটানিতে নোবেল দেওয়ার কথাও বলেছেন।

Advertisements

তবে আজ দ্বিতীয় মহাকালের মন্দির তৈরির ঘোষণা অভিনব হলেও বিরোধী দলের নেতৃত্ব এখনও তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী জলের সমস্যা তো বটেই তার সঙ্গে সামাজিক সমস্যার কথাও বলেছেন।

স্থানীয় মানুষের দাবিতে তিনি স্কুল করে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল সরব না হলেও দ্বিতীয় মহাকালের মন্দির তৈরির ভিডিও বার্তায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ বলেছেন সরকার কি শুধু মেলা আর মন্দির করার জন্য?

সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। বাংলার মানুষ আর কতদিন ভাতা আর ভিক্ষের উপরে বেঁচে থাকবে। উত্তর বঙ্গের যা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে পর্যটকরাও যেতে পারছেন না। উত্তরবঙ্গে চা শিল্প ছাড়া আর কিছুই নেই। তার মধ্যেও অনেক চা বাগানই প্রায় বন্ধের মুখে এবং অনেকগুলি বন্ধ হয়েও গিয়েছে। সে বিষয়ে কেন সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। মন্দির করলে কি মানুষের পেটে ভাত জুটবে? সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভবিষ্যৎ কি সেখানে এমনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অনেকে।