HomeBharatরাজ্যসভার বুলেটিন বিতর্কে ফের রণংদেহী মমতা

রাজ্যসভার বুলেটিন বিতর্কে ফের রণংদেহী মমতা

- Advertisement -

কলকাতা: রাজ্যসভার বুলেটিন নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে রাজ্যসভার ভিতরে জয় হিন্দ কিংবা বন্দে মাতরম জাতীয় শব্দ বলা যাবে না। এই ইস্যুতেই ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন কলকাতা: “জয় হিন্দ বলব না? বন্দে মাতরম বলব না? কেন বলব না? এটা আমাদের জাতীয় সংগীতের মতোই সম্মানের, এটা নেতাজির ডাক, এটা স্বাধীনতার স্লোগান! যে এর সঙ্গে টক্কর দেবে, সে চুরচুর হয়ে যাবে!”সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গর্জে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যসভার সেক্রেটারিয়েটের একটি বুলেটিনকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তাকে সামনে রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো যেন আবার সেই পুরনো ‘রণংদেহী’ রূপে ফিরে এসেছেন।বিতর্কের শুরু গত সোমবার। রাজ্যসভার সেক্রেটারিয়েট একটি বুলেটিন জারি করে সদস্যদের জানায়, সদনে বক্তব্যের শেষে “থ্যাঙ্ক ইউ”, “জয় হিন্দ”, “বন্দে মাতরম”, “জয় বাংলা” কিংবা অন্য কোনো স্লোগান ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি “নমস্কার” বা “খোদা হাফেজ”-এর মতো অভিবাদনও নিষিদ্ধ।

   

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এগুলি সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং সদনে “অপ্রয়োজনীয় শব্দ” বাড়ায়। বুলেটিনে স্পষ্ট লেখা আছে “সদস্যদের উচিত শুধু ‘থ্যাঙ্ক ইউ, চেয়ার’ বলে বক্তব্য শেষ করা।”এই বুলেটিন প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু আজ মমতা নিজে ময়দানে নেমে যেন পুরো বিষয়টিকে জাতীয় আবেগের লড়াইয়ে পরিণত করে দিলেন।

তিনি বলেন, “এটা কোনো সাধারণ নিয়ম নয়, এটা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্লোগানের ওপর আঘাত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ‘জয় হিন্দ’ দিয়েছিলেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ‘বন্দে মাতরম’-এর জন্য জেল খেটেছেন। এগুলোকে আজ ‘অপ্রয়োজনীয় শব্দ’ বলা হচ্ছে? এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট, এই লড়াই শুধু তৃণমূলের নয়, বাংলার নয় এটা গোটা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্মানের লড়াই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যাঁরা সংসদে বসে দেশভাগের কথা বলেন, পাকিস্তানের প্রশংসা করেন, তাঁদের কিছু বলা হয় না। আর যাঁরা ‘জয় হিন্দ’ বলেন, তাঁদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে?”

তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট এটা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘বাংলা-বিরোধী’ মানসিকতার আরেকটা প্রমাণ।রাজ্যসভায় তৃণমূলের ফ্লোর লিডার ডেরেক ও’ব্রায়েন ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিয়ে বুলেটিন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, নদীমুল হক তৃণমূলের সব সাংসদই একযোগে এর বিরুদ্ধে

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular