কলকাতা: রেড রোডে আজ এক বিশাল মেগা মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের সূচনা করা হয়েছে বিআর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলটি SIR ইস্যুতে সাধারণ মানুষের প্রতি সচেতনতা এবং সকল বৈধ ভোটারের অধিকার রক্ষা করার বার্তা দিতে ডাক দিয়েছে।
মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। তারা মানববন্ধনের মাধ্যমে সমাজের একতাকে প্রতিফলিত করছেন। এই অংশটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় কারণ এটি শুধু রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবেও দেখা যাচ্ছে। মানববন্ধনকারীরা মিছিলে অংশগ্রহণ করে সকলের জন্য সমান ভোটাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরছেন।
মিছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক মানববন্ধনকারীদের পিছনে হাঁটছেন। মিছিলের পরবর্তী সারিতে রয়েছেন বিভিন্ন তারকা এবং তারপরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলের এ বিন্যাস সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করার রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। নেতৃত্ব থেকে সাধারণ কর্মী পর্যন্ত সবাই মিলে সমাজের কাছে একটি স্পষ্ট সংকেত দিচ্ছেন যে, একজন বৈধ ভোটারকেও যেন হটিয়ে দেওয়া না হয় এবং তাদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সক্রিয় আন্দোলন হবে।
মিছিলের প্রতিটি ধাপকে আরও প্রভাবশালী করতে মঞ্চস্থ হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক আয়োজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন এবং সুর করেছেন একটি গান, যা মিছিলে বাজানো হচ্ছে। গানটি পরিবেশন করেছেন শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। গানটি কেবল রাজনৈতিক আঙ্গিকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মানুষের আবেগ ও সচেতনতার সঙ্গে মিশে মিছিলে যোগদানকারীদের উদ্দীপনা বাড়াচ্ছে। গান এবং মিছিলের সঙ্গম সত্যিই একটি অনন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।
আজকের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শোকার্ত পরিবারও, যারা সম্প্রতি SIR আতঙ্কের কারণে প্রিয়জন হারিয়েছেন। কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন। এই মানবিক সংযোগ সমাজে রাজনৈতিক আন্দোলনকে মানবিক রূপ দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা এবং তার প্রতিফলন মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষের চোখে লক্ষ্য করা গেছে। এই মিছিলের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বের বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মিছিলটি রেড রোড থেকে শুরু হয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত।


