ভারতের সঙ্গে ‘গরম’, এবার মালদ্বীপে ‘অভুত্থানে’ বেকায়দায় মইজ্জু

ক্রমশই পরিস্থিতি অস্থির হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের (Maldives)। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদের জেরে দেশের পর্যটন শিল্পে ভাড়ার শূন্য হয়েছে আগেই। তাই জন্য সম্প্রতি ভারতীয়…

Maldives president Muhammad Muizzu is facing economic uprising against him

ক্রমশই পরিস্থিতি অস্থির হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের (Maldives)। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদের জেরে দেশের পর্যটন শিল্পে ভাড়ার শূন্য হয়েছে আগেই। তাই জন্য সম্প্রতি ভারতীয় পর্যটকদের ফেরাতে উঠে পড়ে লেগেছে মইজ্জু প্রশাসন। ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়া’ নামে ভারতেই পর্যটন মেলার প্রচার চালিয়েছে মইজ্জু সরকারের মন্ত্রীরাই। এরমধ্যেই মুইজ্জু সরকারকে ফেলে দিতে মলদ্বীপে ‘আর্থিক অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মলদ্বীপের (Maldives) বিরোধী দলগুলি! এমনটাই অভিযোগ এনেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট খোদ মহম্মদ মুইজ্জু (Muhammad Muizzu)। 

গোটা বিশ্বের মাথাব্যাথার কারণ চিন, কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

   

পাশাপাশি মঙ্গলবার মুইজ্জু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন এবং এ ভাবে সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন, তাঁদের সবাইকে বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। সেই মর্মে তদন্তও শুরু করেছে প্রশাসন। একই অভিযোগ তুলেছেন মলদ্বীপের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ সঈদও। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেছেন, দ্বীপরাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থাকে ব্যাহত করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।কিন্তু কেন এমন অভিযোগ তুলেছে মুইজ্জু সরকার? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ্যে এসেছে, মলদ্বীপের ব্যবহারযোগ্য ডলারের ভান্ডার ফুরিয়ে গিয়েছে। শুধু শূন্য য়, ‘মাইনাসে’ চলছে সেই ভান্ডার।

আরজি কর কাণ্ডে ‘নীরব’ হাইকমান্ড, তবুও পুলিশের ভূমিকায় সরব অধীর

এই খবর আসার দিন কয়েক পরেই বড় পদক্ষেপ করে মলদ্বীপের শীর্ষব্যাঙ্ক ‘ব্যাঙ্ক অফ মলদ্বীপ (বিএমএল)’। বিএমএলের তরফে ব্যাঙ্কের দেওয়া ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডগুলি থেকে বিদেশি লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যারফলে অস্থিরতা তৈরি হয় মালদ্বীপে। সাধারন মানুষের মধ্যেও বাড়তে থাকে আশঙ্কার মেঘ। তারপর ফের কার্ডে লেনদেনের নির্দেশকে প্রত্যাহার করে সেদেশের সরকার। আর এমন অস্থিরতার জন্য মইজ্জু সরকারকেই দায়ী করেছে সেদেশের সংবাদপত্রগুলি। আর তাতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে মুহাম্মদ মইজ্জুর সরকার।

অজিতের প্রচারে ডাক পাননি মুখম্যন্ত্রী শিন্ডে, ভোটের মুখে বিজেপি জোটে ভাঙন

ব্যাঙ্ক অব মালদ্বীপ বা বিএমএলের এই চেষ্টাকে তাঁর সরকার ফেলার ‘অবৈধ চেষ্টা’ বলেও দাবি করেন তিনি। তবে মালদ্বীপের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছে কূটনৈতিকমহল। কারণ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মালদ্বীপের অবস্থান ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্বীপরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বজায় রাখতে যে কোনও বড় শক্তিই সর্বদা তত্পর। এমন অবস্থায় মালদ্বীপের এই অস্থিরতার পেছনে যে কোনও বড় শক্তির প্রভাব যে রয়েছে, সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।