বনগাঁয় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন এবং SIR নিয়ে উত্থিত ভয় ও উদ্বেগের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “SIR নিয়ে ভয় পাবেন না। আমি থাকতে আপনাদের কেউ তাড়াতে পারবে না।” এই প্রতিশ্রুতি শুধু একটি রাজনৈতিক আশ্বাস নয়, বরং বাংলার সাধারণ মানুষকে মানসিক স্বস্তি দেওয়ার একটি প্রয়াস হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়, তিনি জনগণের পাশে আছেন এবং কেউ তাদের অধিকার ও নিরাপত্তার সঙ্গে খেলা করতে পারবে না। বনগাঁয় তিনি জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমি থাকছি, আর আমার থাকার ফলে বাংলার মানুষ নিরাপদ। আমার থাকার কারণে কোনো ভয়, কোনো হুমকি, কোনো চাপ জনগণের ওপর প্রযোজ্য হতে পারবে না।” এই বক্তব্যে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও মানবিক বার্তা লুকিয়ে রয়েছে, যা ভোটারদের মনোবল বাড়াতে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশ্বাসের মূল প্রসঙ্গ হলো SIR নিয়ে যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তা দূর করা। নির্বাচনী সময়ের আগে এই ধরনের তথ্য ও কার্যক্রম অনেক সময় জনমনে ভীতি ও সন্দেহ সৃষ্টি করে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দীর্ঘদিন বাংলায় বসবাসকারী মানুষদের ভোটার তালিকা বা নাগরিক অধিকার কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি জনগণকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ যদি থাকে, তা মানুষের অধিকার হরণের উদ্দেশ্যে নয়।
বনগাঁয় এই জনসভা কেবল রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়, এটি ছিল একটি সামাজিক বার্তা। মানুষের কাছে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা কখনোই জনগণের সাথে অন্যায় করি না। তাই যে কোনো ভয় বা সংশয় আছে, তা আমাদের থাকার কারণে অযৌক্তিক।” এই উক্তি বাংলার সাধারণ মানুষদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বোধ জাগিয়ে তুলেছে
এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন যে, বাংলার মানুষের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। অর্থাৎ, মানুষের মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার সুরক্ষিত। এই বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি মানবিক দিকও প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রতিফলিত করছে যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক রণনীতির জন্য নয়, মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষাই মূল লক্ষ্য।
SIR নিয়ে চলমান বিতর্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে এই জনসচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে সরাসরি জানাচ্ছেন যে, কোনো বিভ্রান্তি বা ভয়ের কারণ নেই। তিনি নিজেই পরিস্থিতির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখছেন এবং জনগণ যেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করে, তা নিশ্চিত করছেন।
