Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে ভোটের হার কমছে

   তৃতীয় দফায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে। প্রথম দু’ দফার মতো তৃতীয় দফাতেও ভোটের হার কমেছে। এতে কার লাভ, কার…

Voter-Card
  

তৃতীয় দফায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে। প্রথম দু’ দফার মতো তৃতীয় দফাতেও ভোটের হার কমেছে। এতে কার লাভ, কার ক্ষতি। অঙ্ক কষছে সব দলই। সাতই মে। তৃতীয় দফা। সেদিন ভোট হয় রাজ্যের চার কেন্দ্রে। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার কেন্দ্রেই উনিশের তুলনায় ভোটের হার কমেছে।

২০১৯ সালে মালদা উত্তরে ভোট পড়ে ৮০ দশমিক দুই আট শতাংশ। দু’হাজার চব্বিশে ৭৬ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। অর্থাৎ উনিশের তুলনায় মালদা উত্তরে ভোট কমেছে চার দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ। মালদা দক্ষিণেও ছবিটা প্রায় এক। ২০১৯ সালে মালদা দক্ষিণে ভোট পড়ে ৮১ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। দু’হাজার চব্বিশে ৭৬ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। অর্থাৎ এবার ভোট কমেছে ৪ দশমিক তিন সাত শতাংশ।

   

তৃতীয় দফায়, মালদার মতোই মুর্শিদাবাদ জেলার দুই আসনে ভোট হয়। ২০১৯ সালে জঙ্গিপুর ভোট পড়ে ৮০ দশমিক সাত দুই শতাংশ। দু’হাজার চব্বিশে ৭৫ দশমিক সাত দুই শতাংশ উনিশের তুলনায় এবার ভোট কমেছে ৫ শতাংশ। মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনেও একই ছবি। ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদে ভোট পড়ে ৮৪ দশমিক দুই আট শতাংশ। দু’হাজার চব্বিশে ৮১ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ। উনিশের তুলনায় এবার ভোট কমেছে ২ দশমিক সাত ছয় শতাংশ।

Mamata Banerjee: ‘যখন ভোট আসে মমতা…’, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন অর্জুন সিং

প্রথম এবং দ্বিতীয় দফাতেও রাজ্যে ভোটের হার কম ছিল। প্রবল গরমে অনেকেই বুথ মুখো হননি। কিন্তু তৃতীয় দফার ভোটের দিন তেমন গরম ছিল না। হিংসার ঘটনাও ঘটেনি। তাহলে কম ভোট পড়ল কেন। এতে কার লাভ। কার ক্ষতি। হিসেব কষছে সব দলই।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘এটা ঠিকই যে ভোট কিছুটা কম পড়েছে। আমাদের সাংগঠনিক হিসেবে, আমাদের মার্জিন আরও বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে বা দেশে যে নির্বাচন হচ্ছে, এই নির্বাচনে কার্যত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। কোনও জায়গায় কোনও প্রতিযোগিতার আবহ দেখা যাচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আসতে পারেননি। কম ভোট পড়ার সেটা একটা কারন।’ তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের মতে, ‘গরমের জন্য ভোট কম পড়েছে। কেন্দ্রের সরকার নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে অনেকে ভোট বয়কট করছেন। মোদি সরকারের প্রতি বিরক্ত হয়ে।’

Kunal Ghosh: ‘বাংলায় তৃণমূলের আসনসংখ্যা হবে…’, চাঞ্চল্যকর দাবি কুণাল ঘোষের

এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র আবার অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘যে ভোটটুকু পড়ল না। সেই ভোটটা কাদের ভোট পড়ল না। তার যদি একটা বিন্যাস থাকে। কোনও একটি বিশেষ দলের ভোট না পড়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সেই দলটির মুশকিল হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দল বলবেন, যে মানুষগুলে ভোট দিতে আসেনি তাঁরা বিরোধী পক্ষের লোক। ফলে সেই রাজনৈতিক দলের সুবিধা হবে। দেশের উন্নয়নের বিষয়ে যদি ভোট না হয়, রাজনীতির অন্যান্য বিষয় যদি জড়িত হয়ে পড়ে, তখন সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার ইচ্ছে কমে যেতে পারে।’