ভাঙলেন বিধান রায়ের রেকর্ড! মমতার মন্ত্রিত্ব নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী কুনালের

kunal-ghosh-says-mamata-banerjee-breaks-bidhan-roy-record-aims-jyoti-basu

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে বঙ্গে। আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR। বিধানসভা নির্বাচন কে ঘিরে বঙ্গের রাজনৈতিক চাপানউতোর এখন রোজকার রুটিন। এর মধ্যেই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ করলেন এক ভবিষ্যৎবানী। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিও বার্তায় বলেন ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৪ বছর ১৬৬ দিন।

Advertisements

আজ সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কুনাল বলেন মমতার সামনে শুধু লক্ষ্য জ্যোতি বসু। যিনি ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কুব্যাল ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন জিতে মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই রেকর্ড ভেঙে দেবেন এবং আরও দীর্ঘদিন তিনি এই পদের দায়িত্ব সামলাবেন।

   

গোকুলামকে উড়িয়ে সুপার কাপ শুরু করল পাঞ্জাব

তৃণমূল মুখপাত্রের এই বক্তব্য শুধু দলীয় আত্মবিশ্বাসই নয়, আসন্ন নির্বাচনের দিকনির্দেশও বটে। রাজ্যে যখন বিরোধীরা ক্রমাগত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছে, তখন কুনাল ঘোষের এই মন্তব্য দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে।কুনাল ঘোষ আরও বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের পথে। তাঁর সাহস, দৃঢ়তা এবং জনমুখী নীতি বাংলার মানুষকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।

Advertisements

তাই আমি নিশ্চিত, বাংলার মানুষ আবারও তাঁর হাতেই রাজ্যকে দেখতে চান।” রাজনৈতিক মহলে কুনাল ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের ‘রেকর্ড-ভিত্তিক’ বক্তব্য আসলে প্রতীকী রাজনীতি যেখানে অতীতের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তুলনা করে মমতার নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিরোধী শিবির কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল এখন রেকর্ড গোনাতেই ব্যস্ত। কিন্তু রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের দিকে তারা চোখ বন্ধ করে রেখেছে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় রেকর্ড ভাঙুন’, কিন্তু আগে রাজ্যের মানুষের ভরসা ফিরিয়ে আনুন।” তবে শাসকদলের ভেতরে কুনাল ঘোষের বক্তব্যকে অনেকেই “রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন” বলেই ব্যাখ্যা করছেন। তাঁদের মতে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও মমতা বন্দোপাধ্যায় এখনও সংগঠনকে শক্তভাবে ধরে রেখেছেন, যা বিরোধীরা পারেনি।