‘…ভুলে যাবেন না’, শুভেচ্ছা জানিয়ে মহাগুরুকে কী মনে করালেন কুণাল?

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাবার প্রসঙ্গে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তৃণমূল নেতা তার সমাজমাধ্যমে লেখেন,…

KUNALMITHUN '...ভুলে যাবেন না', শুভেচ্ছা জানিয়ে মহাগুরুকে কী মনে করালেন কুণাল?

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাবার প্রসঙ্গে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তৃণমূল নেতা তার সমাজমাধ্যমে লেখেন, “দাদাসাহেব ফালকে মিঠুন চক্রবর্তী।
শিল্পী মিঠুনদাকে অভিনন্দন।
শুধু অনুরোধ, দীর্ঘ উপেক্ষার পর আপনার পদ্মশ্রীর জন্য প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চিঠি ও চেষ্টার দিনগুলো এবং সেইসঙ্গে মমতাদির আপনাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে স্বীকৃতিদান ভুলে যাবেন না।”

তাঁর এই পোস্ট দেখে অনেকে মনে করছেন, বিনোদনের সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে ফেলছেন তৃণমূল নেতা। যেটা একেবারেই ঠিক নয়। ইতিমধ্যেই এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একজন লিখেছেন, “চাটুকারিতার পুরস্কার… ভালো অভিনেতা হতে পারেন ভালো মানুষ একদমই নন।” আবার অন্য আরেকজন লিখেছেন, “আপনি ও ভুলে যাবেন না যে আপনি একদিন পিসি কে সারদার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি বলেছিলেন।” বোঝাই যাচ্ছে, তিনি এই পোস্ট করা মাত্র তাঁর কমেন্ট সেকশনে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

   

২০১৪ সালে এক সভায় প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তার সঙ্গে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন মহাগুরুর নাম ‘পদ্মশ্রী’র জন্য প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee)। মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) যাতে ‘পদ্মশ্রী’ দেওয়া হয় সেই নিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন প্রণববাবু। সেই স্মৃতিই উস্কে দিয়ে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সাল, ১৯৯২ সাল, ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে ‘মৃগয়া’, ‘তাহাদের কথা’ ও বিবেকানন্দের জীবনীতে অভিনয় করার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তারপর কেটে গিয়েছে বহুবছর। ২০০৫ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন শাহরুখ খান। ২০১৬ সালে এই পুরস্কার পান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও অজয় দেবগণ। অনেকেরই মত বহুবছর বঞ্চিত থাকার পর ২০২৪ সালে যোগ্য সম্মান (Dadasaheb Phalke Award) পেলেন মহাগুরু ।