কৃষ্ণনগরে লাঠি চালানো অমলেন্দুর দুর্নীতি ফাঁস

krishnanagar-ic-amolendu-biswas-corruption-bjp

কলকাতা: জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরী হয় কৃষ্ণনগরে। ভাসান দেখতে আসা কৌতূহলী জনতার উপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার সময় জনতাকে লক্ষ্য করে ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করে খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস। বঙ্গ বিজেপি অভিযোগ করেছে অমলেন্দু বিশ্বাস নামে এই পুলিশ কর্তা দুর্নীতি গ্রস্থ।

Advertisements

বিজেপি নেতা এবং বিশিষ্ঠ আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তার এক্সহ্যান্ডেলের পোস্টে ফাঁস করেছেন এই পুলিশ কর্মীর দুর্নীতি। তিনি বলেছেন তিনি দাবি করেছেন “রাজ্যের পুলিশের মধ্যে কিছু অফিসার আছেন যাদের কাজ দেখে মানুষ আজ পুলিশের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের বর্তমান আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস।”

   

পদপিষ্টের জন্য ‘ভগবান দায়ী’? অন্ধ্র-মন্দিরের পুরোহিতের বিস্ফোরক বয়ান!

তরুণ জ্যোতির অভিযোগ অনুসারে অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ যেমন ২০২০ সালে মালদায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁকে তখনকার জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া নিজে “closed” করেন। সেই ঘটনার জেরে তিনজন সাব-ইন্সপেক্টরও বরখাস্ত হন। জাঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিক পরিবার হয়রানি মামলায় উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনি কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আছে অমলেন্দুর উপর।

রাজাহাট মন্দির চুরির মামলাতেও নাকি নাম আছে এই গুনধরের। মন্দিরের সোনা চুরির ঘটনায় তাঁর নাম আছে এবং মামলাটি এখনও বিচারাধীন এবং গত রাতে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘটনায় হিন্দু ভক্তদের উপর পুলিশি হামলার অভিযোগ এবং ধর্মীয় কটূ মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, এমন একজন বিতর্কিত অফিসারকে রাজ্য সরকার বারবার সংবেদনশীল থানায় পোস্টিং দিচ্ছে কেন?

Advertisements

তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি আরও বলেছেন, “একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে অমলেন্দু বিশ্বাসের আর্থিক ও সম্পত্তিগত অবস্থার ওপর ভিজিল্যান্স তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সরকারি চাকরি করেও তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিপুল সম্পত্তির মালিক এটা সাধারণ মানুষ জানতে চায়।”

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা একাধিকবার রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসন নীরব, কারণ অভিযুক্তদের রাজনৈতিক আশীর্বাদ আছে।”

তবে রাজ্য প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত অমলেন্দু বিশ্বাস বা কৃষ্ণনগর থানার বিরুদ্ধে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিজেপি জানিয়েছে, যদি দ্রুত ভিজিল্যান্স ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দল বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এবং আদালতে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করবে।