শারীরিক অবস্থার অবনতি, অনশন প্রত্যাহারে জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি পুলিশের

আরজি কর কাণ্ডে (RG kar protest)আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহার করতে চিঠি পাঠালো কলকাতা পুলিশ। অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণেই অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানানো…

Kolkata police request and send letter to junior doctors to withdraw their hunger strike amid rg kar protest

আরজি কর কাণ্ডে (RG kar protest)আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহার করতে চিঠি পাঠালো কলকাতা পুলিশ। অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণেই অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলায় ডাক্তারদের জমায়েতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা। 

বিপত্তির শেষ নেই! ট্রমা কেয়ারে এসেছে রক্তমাখা গ্লাভস, চাঞ্চল্য আরজি করে

   

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্মতলার মতন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অনুষ্ঠান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই এই অবস্থান জমায়েত যেন সেখানে থেকে আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি নয়জন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ব্যক্তিগতভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি কতভাবে আর যে জানি সম্পূর্ণ পাহাড়ের কথা বলা হয় তাঁদেরকে।

গত পাঁচ দিন ধরে আর জি কর কান্ডে দ্রুত বিচারের দাবিতে অনশন করে আসছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এতে ইতিমধ্যেই তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে চলেছে। একটানা না খেয়ে থাকার জন্য প্রভাব পড়েছে কিডনি লিভারের মতন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও। অবস্থান জমায়েতে মোতায়ন রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। তবে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করতেন নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতোর।

চুটিয়ে ঠাকুর দেখুন, সারারাত চলবে মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি

জুনিয়ারদের সমর্থন করতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। ইতিমধ্যেই আর জি কর ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিপুলসংখ্যক সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দিয়েছেন। তাদের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

শাহরুখের জীবনে বড় অনুপ্রেরণা ছিল রতন টাটা

গতকাল বুধবার রাতে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে দজ দফা দাবি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সেই বৈঠক শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলা হয়। তাতে প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ আরও দৃঢ় হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

পুজোর উৎসবের মধ্যে আরজিকর কাণ্ডে আন্দোলন প্রশাসন কিভাবে সামলাবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।