রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) জামিন নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিচারক পার্থকে সর্তক করে বলেন, জামিন পাওয়ার পরও সশরীরে হাজিরা না দেওয়ার কারণে তার জামিন বাতিল হতে পারে।
ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু পার্থ আদালতে উপস্থিত হননি। এর ফলে বিচারক কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ যাঁরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আশাকরি পচা শামুকে পা কাটবেন না।” বিচারকের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।
এই ঘটনায় দেখা যায় যে, জামিন পাওয়া মানেই সব ধরনের ছাড় নয়। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, আদালতের নিয়ম অমান্য করলে সেই ব্যক্তির জামিন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তার অবর্তমানতা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে।
জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন। কিন্তু নিম্ন আদালতের হাজিরার বাধ্যবাধকতা এখনও শিথিল হয়নি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া সত্ত্বেও পার্থকে প্রতিনিয়ত নির্ধারিত তারিখে হাজিরা দিতে হবে। এটি একটি স্পষ্ট সংকেত যে, কোনো পর্যায়ের আদালতই নিয়মের ব্যতিক্রম মেনে নেবে না। বিচারকের মন্তব্যের “পচা শামুকে পা কাটবেন না” অংশটি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে প্রচুর আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এটি হয়তো ব্যঙ্গাত্মক হলেও আদালত তাঁর বক্তব্যের গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন। অর্থাৎ, আদালতের নিয়ম না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলি আদালতের কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করছে। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থকরা তাকে সমর্থন জানিয়ে বলছেন, আদালতের নিয়মাবলী এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
