কলকাতা: বঙ্গে এ যেন এক নতুন রাজনীতি। কেউ করছে বাবরি মসজিদ তো কেউ গীতাপাঠ (Gita chanting Brigade controversy)। তবে এই উত্তপ্ত আবহেই ফের একবার সরব বিরোধীরা। রবিবার ব্রিগেড ময়দানে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থিত আছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার। নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ইস্যুতেই একবার ফের সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা এবং আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন “আমন্ত্রণ থাকে কিনা জানিনা তারপরেও প্রত্যেক বছর রেড রোডে নামাজ পড়তে হাজির হন। আজকে কলকাতা সাক্ষী থাকল এক ইতিহাসের।। পাঁচ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ। আমন্ত্রণ থাকার পরেও উনি আসলেন না।” মমতাকে কটাক্ষ করে তরুণ জ্যোতি বলেছেন ” আসলে উনি ৩৭ শতাংশের মুখ্যমন্ত্রী, হিন্দুদের মুখ্যমন্ত্রী নয়।
ভোটের প্রাক্কালে রাজনীতির ‘ধর্মযুদ্ধ’, গীতাপাঠের মঞ্চে রাজ্যপালও
যে বারবার বছরের পর বছর বিশেষ শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয় যে আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই সে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে থাকবেন না সেটাই স্বাভাবিক।” তরুণজ্যোতি তার এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে স্পষ্টতই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এতদিন মুসলিমদের অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে শুরু করে ইফতার-নামাজ সমস্ত রকমের ধর্মীয় কার্যকলাপে প্রকাশ্যে দেখা গেছে তাকে।
ভুরি ভুরি ছবিও আছে। কিন্তু এখন ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো নাটক করতে চাইছেন মমতা। সম্প্রতি হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ নিয়ে বয়ে গিয়েছিল বিতর্কের ঝড়। এই বিতর্কের মধ্যেই তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হল হুমায়ুন কবিরকে। কিন্তু তারপরের দিনই বেলডাঙ্গায় প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হয়ে গেল। এই ঘটনা নিয়েও বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে মমতার মুখ এবং মুখোশ এক নয়।
শুভেন্দু অধিকারী নিজে এই পুরো ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব সরবে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মমতা বন্দোপাধ্যায় এই মুহূর্তে নিজেকে কোনও ধর্মীয় বিষয়ে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়াতে চাইছেন না, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে যে তৃণমূল আসলেই একটি সেক্যুলার দল। তবে আজকের গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ফের একবার বিজেপিকে কটাক্ষ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল বা মমতা বন্দোপাধ্যায় হয়তো নিজেদের সেক্যুলার বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন কিন্তু দিনের পর দিন মুসলিম তোষণ বাংলার মানুষ দেখেছে এবং তারা এই নাটক বিশ্বাস করছেন না। বিজেপি গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেছিল যে হুমায়ূনকে সাসপেন্ড করা হলেও প্রশাসন কেন তার এই বাবরি মসজিদ নির্মাণে বাধা দিল না। তবে বাংলায় বাবরি মসজিদ এবং আজ গীতাপাঠে অনুপস্থিতি এই নিয়ে আরও অভিযোগ হয়তো করবে বিজেপি নেতৃত্ব তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূলের এই কর্মকান্ড মানুষ এখন বুঝে গিয়েছে এবং তার প্রতিফলন মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনেই দেবে।
