Monday, December 8, 2025
HomeBharatবিতর্কের মুখে সরাসরি জামাত কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

বিতর্কের মুখে সরাসরি জামাত কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

- Advertisement -

তিরুবনন্তপুরম: কোঝিকোড়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বক্তব্যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কেরলের রাজনৈতিক অঙ্গন (Pinarayi Vijayan JIH WPI)। বিভিন্ন মহলে আলোচনা ছিল লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (LDF) কি জামাত-এ-ইসলামি হিন্দ ও তার রাজনৈতিক শাখা ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (WPI) প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছে? সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সত্যিই তিনি জামাত নেতাদের সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমে বৈঠক করেছিলেন। তবে তিনি স্পষ্ট বলেন “আমরা জানতাম, জামাত-এ-ইসলামি একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন। তাদের যুব শাখা সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্টের নেতাদের আমি মুখের ওপর বলেছি আপনারা একটি সমাজবিরোধী সংগঠন, মানুষের কল্যাণের বিরুদ্ধে অবস্থান করেন।”

   

বঙ্গে তৃণমূলের আশ্রয়ে ফিরছে চিটফান্ডের দুঃস্বপ্ন!

বিজয়ন আরও বক্তব্য রাখেন “কেউ যেন জামাত-এ-ইসলামিকে পরিষ্কার-চকচকে দেখানোর চেষ্টা না করে। তাদের মৌলবাদী রাজনৈতিক লাইন কখনও বদলায়নি।”সাম্প্রতিক সময়ে কেরলে বিরোধী জোট ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) এবং কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ উঠেছিল অতীতে এলডিএফ প্রার্থীকে সমর্থন করেছে জেআইএইচ ও ডব্লুপিআই

এদিকে, কংগ্রেস–নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এখন স্থানীয় নির্বাচনে ওয়েলফেয়ার পার্টির সঙ্গে ট্যাকটিক্যাল সমঝোতা করেছে, এবং সিপিআই(এম) সেই জোটকেই এখন প্রশ্ন করছে। এই পারস্পরিক অভিযোগের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জানান “কোনোদিনই সিপিআই(এম) বা এলডিএফ জামাত-এ-ইসলামিকে কোনো ‘গুড সার্টিফিকেট’ দেয়নি।”

বিজয়ন স্মরণ করিয়ে দেন ২০১৪ সালে ওমান চন্ডির নেতৃত্বে ইউডিএফ সরকার জামাত-এ-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন করেছিল, তাদের “রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন” দাবি করে। এই অবস্থান তারা হাইকোর্টে শপথনামায় জানিয়েছিল। ১৯৯২ সালে কংগ্রেস–নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারও এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ “আজ সেই ইউডিএফ-ই ডব্লুপিআই-এর সঙ্গে জুটি গড়ছে।”

বিজয়ন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-এর দিকেও আঙুল তোলেন, দাবি করেন “তারা জামাত-এ-ইসলামির নেতৃত্বের কাছে মাথা নত করেছে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা কে.সি. ভেনুগোপালের চ্যালেঞ্জও গ্রহণ করেন কেরলের ইউডিএফ সাংসদদের সংসদীয় পারফরম্যান্স নিয়ে সরাসরি বিতর্কে বসতে প্রস্তুত বলে জানান।

সঙ্গে তিনি দুই সাংসদ এন.কে. প্রেমচন্দ্রন (কোল্লাম) এম.কে. রাঘবন (কোঝিকোড) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তাঁরা লোকসভায় এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন, যা কেরল সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ দিয়েছিল।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular