RSS অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাসপেন্ড রাজ্য সরকারি কর্মী!

karnataka-government-employee-suspended-for-attending-rss-event

কর্নাটকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। সম্প্রতি সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ রাজ্যের একজন সরকারি কর্মীকে সাসপেন্ড করল সিদ্দারামাইয়া নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisements

জানা গিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ওই সরকারি কর্মীর নাম প্রমোদ। তিনি এক সরকারি স্কুলের হোস্টেলে সহকারী রাঁধুনি হিসেবে কর্মরত ছিলেন চুক্তিভিত্তিক পদে। সম্প্রতি তিনি আরএসএসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এবং সেখানে তাঁর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনা একা নয়। কয়েকদিন আগেই কর্নাটক পঞ্চায়েত দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে একই কারণে সাসপেন্ড করা হয়। জানা যায়, তিনি আরএসএসের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সংঘের পোশাকে প্যারেডে অংশ নেন। এই ঘটনায় প্রশাসনের শীর্ষ মহল কড়া অবস্থান নেয়।

এই পটভূমিতে, কর্নাটকে আরএসএস নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র তথা কর্নাটক সরকারের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আরএসএস নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। যদিও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও সেই পথে হাঁটেনি, তবে সংঘের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরোক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Advertisements

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকার এখন আরএসএসের স্কুল ও কলেজে শাখা চালানো, সরকারি জমিতে তাদের শরীরচর্চা বা অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি প্রত্যাহার করতে পারে। কংগ্রেসের বক্তব্য, সরকারি সম্পত্তিতে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কার্যকলাপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলেই চিহ্নিত করেছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, “আরএসএস এক সামাজিক সংগঠন। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে বরখাস্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন।”