দেড় দিন কেটে গেলেও এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সামানে আন্দোলনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ রোদ,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় দিন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা না মেলায় চিকিৎসকেরা তাঁরা…

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সামানে আন্দোলনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ রোদ,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় দিন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা না মেলায় চিকিৎসকেরা তাঁরা তাঁদের পাঁচটি দাবিতে একেবারে অনড় রয়েছেন৷ তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য,যতক্ষণ না পাঁচ দফা দাবি পূরণ করবে রাজ্য সরকার, ততদিন তাঁরা এইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷

যদিও সরকারের তরফ থেকে দফায় দফায় ইমেল চালাচালি হলেও আসল সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও৷ কখনও নবান্ন থেকে ইমেল এসেছে,বৈঠকে বসার জন্য৷ আবার কখনও নবান্নকে কয়েকটি পাল্টা শর্ত বেঁধে দিয়েছেন আন্দোকারীরা৷ এতকিছুর পরেও কোনও সুরাহা এখনও মেলেনি৷

   

তবে সরকারের তরফ থেকে নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলনের মধ্যে রাজনীতি জড়িয়ে গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে খোলা মনে আনোচনার কথা বলা হয়েছে৷ । কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়।

অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, পুরো বিষয়টি সরকারের কাছে একেবারে পরিষ্কার৷ আশা করা যায়, সমস্ত দাবিকে মেনে নেওয়া হবে৷ এটিকে ডাক্তারদের জেদ না বলাই ভাল৷ জেদ বললে বিষয়টি ছোট করা হচ্ছে। এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে তাঁদেরকে সামনে আনা হোক৷ কেন অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না, প্রায় একমাস কেটে গিয়েছে৷ এখনও কোনও সুরাহা মিলল না৷ তাঁরা চেয়েছেন খোলা মনে সবার সামনে আলোচনা হোক। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সকলের অভিভাবক, সে ক্ষেত্রে উনি থাকবেন কি না,তার নিশ্চয়তা নেই। এটা কোনও জেদ নয়,এটা অধিকার।