লালবাজারের ১৬৩ ধারা জারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা জুনিয়র চিকিৎসকদের

‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’-দের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাকে মঙ্গলবার পথে নামবেন চিকিৎসকরা ((Junior Doctors Protest)। আজ চিকিৎসকদের আয়োজিত দ্রোহের কার্নিভাল হওয়ার কথা রয়েছে রানি রাসমণি রোডে।…

Junior doctors file a case in the High Court against the issuance of Section 163 by Lalbazar.

‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’-দের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাকে মঙ্গলবার পথে নামবেন চিকিৎসকরা ((Junior Doctors Protest)। আজ চিকিৎসকদের আয়োজিত দ্রোহের কার্নিভাল হওয়ার কথা রয়েছে রানি রাসমণি রোডে। কিন্তু সেই দ্রোহের কার্নিভাল হওয়ার আগেই ১৬৩ ধারা জারি করেছিল লালবাজার। এবার রানি রাসমণি রোডে লালবাজারের সেই জমায়েতের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করল জুনিয়র চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ। সেই থেকেই রানি রাসমণি রোড এবং আশপাশের রাস্তায় জমায়েত রুখতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। এবার লালবাজারের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতিকে ইমেল করে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী।

   

রেড রোডে কার্নিভালের আগেই শহর ছাড়লেন ‘মহারাজ’, কারণ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। এরপর জরুরি ভিত্তিতে বেঞ্চ বসানোর জন্য আবেদন জানাতেই তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। ইতিমধ্যেই শুনানির জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষ বেঞ্চ। আজ দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এর শুনানি হবে। চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে বাঁধা দেওয়ার জন্য রানি রাসমণি রোডে ৭ ফুট উঁচু লোহার ব্যারিকেট করা হয়েছে।

সেই গার্ডরেলগুলোতে লোহার শিকল বেঁধে তালা লাগানো হয়। ডাক্তারদের আটকাতে রানি রাসমণি রোডে দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিকেল সাড়ে চারটের সময় পুজোর কার্নিভাল শুরু হওয়ার কথা। অন্যদিকে বিকেল চারটে থেকে দ্রোহের কার্নিভালের জন্য জমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকদের এই কার্নিভালের পরে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়।

লৌহ কপাট সরে কার্নিভালের অনুমতি মিলল ‘দ্রোহ’-এর, অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার

সেখানে রানি রাসমণি রোড এবং বেশ কিছু রাস্তায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা করার পাশাপাশি মধ্য কলকাতার মোট ৯টি জায়গাকে চিহ্নিত করে ১৬৩ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, দ্রোহের কার্নিভালের কারণে পুজোর কার্নিভালে অসুবিধা হতে পারে। সেইসঙ্গে অশান্তি ছড়ানোরও আশঙ্কা রয়েছে।

তাই আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এবার কলকাতা হাই কোর্ট শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।