HomeWest BengalKolkata Cityবিহার ফলে "ভয়' পেয়ে বাংলাকে সান্তনা কুণালের?

বিহার ফলে “ভয়’ পেয়ে বাংলাকে সান্তনা কুণালের?

- Advertisement -

বিহারের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কেন্দ্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক মহলে প্রচারিত নানা বক্তব্য ও পূর্বাভাসকে বাংলার প্রেক্ষাপটে না বোঝার জন্য তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। বিহারের পরিস্থিতি শুধু বিহারের। বাংলার সঙ্গে এর কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। বাংলায় ভোটের মঞ্চে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার ও মানুষের আত্মসম্মান। এই ফ্যাক্টরগুলিই বাংলার মানুষকে তৃণমূলের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ রাখে। ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২৫০-এরও বেশি আসন নিয়ে তৃণমূল সরকার গঠন করেছে, এবং বাংলার মানুষ এই মডেলকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

প্রতিযোগী রাজনৈতিক দলগুলো যেমন কংগ্রেস, বিহারের মতো রাজ্যে তাদের কার্যকারিতা নিয়ে বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে। কংগ্রেসের বিজেপিবিরোধী ভূমিকা বাংলায়ও সমানভাবে কার্যকরী নয়, যা প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র বিরোধিতা করে কোনো রাজ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করা সম্ভব নয়। প্রতিটি রাজ্যের নিজের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে, এবং বাংলায় কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দলের প্রচেষ্টা কার্যকর হচ্ছে না।

   

বিহারে বিজেপি-নীতিশের সম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠবে, সেটি অবশ্যই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য কৌতূহল জাগাচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বাংলার মানুষ এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলার মানুষ তাদের স্বার্থ, অধিকার ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলায় SIR এবং অন্যান্য অনুষঙ্গিক বিষয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর চক্রান্ত ও ক্ষমতার অপব্যবহার চালানো হতে পারে। তবে তৃণমূল এই সমস্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করে এবং মাঠ পর্যায়ে সরাসরি জনসংযোগের মাধ্যমে বিজেপি ও কেন্দ্রের সব কৌশল ব্যর্থ করে দিচ্ছে। বাংলার মানুষ ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে তারা কোনো চক্রান্ত বা হুমকির কাছে দমে যায় না।

বিহারের ফলাফল দেখিয়ে বাংলায় হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করা বিজেপির কিছু নেতার বক্তব্যকে তৃণমূল অকারণ সময় নষ্ট হিসেবে বর্ণনা করেছে। বাংলার মানুষ তাদের অধিকার, সম্মান এবং নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ে সচেতন। অন্য কোনো রাজ্যের পরিস্থিতি দেখানো বা হুমকি দেওয়া দিয়ে বাংলার মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব নয়। বাংলার মানুষ তাদের নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও উন্নয়ন মডেলকে দেখে সিদ্ধান্ত নেন।

সংক্ষেপে, বিহারের নির্বাচনী পরিস্থিতি বাংলার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে না। বাংলার মানুষ উন্নয়ন, শান্তি, সম্প্রীতি এবং অধিকারকেন্দ্রিক ভোট দিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন। হুমকি, চক্রান্ত বা অন্য রাজ্যের পরিস্থিতি দেখানোর চেষ্টা বিফল। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বই মানুষের আত্মবিশ্বাস ও স্বার্থের প্রতীক, এবং সেই কারণে তৃণমূল দীর্ঘমেয়াদিভাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

 

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular