জোর করে SIR করলে ভোটে লড়বে না কংগ্রেস! বিস্ফোরক মন্ত্রী

irfan-ansari-sir-congress-election-boycott-statement

ঝাড়খন্ড: ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস মন্ত্রী তথা জামতাড়া বিধায়ক ইরফান আনসারী রবিবার এক জনসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর বক্তব্য রেখেছেন যা রাজ্য তো বটেই, জাতীয় রাজনীতিতেও ঝড় তুলেছে। তিনি খোলাখুলি বলেছেন, “বিহারে যেভাবে জাতিগত জনগণনা (কাস্ট সেনসাস বা এসআইআর) জোর করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডেও যদি একইভাবে করা হয়, তাহলে আমাদের নির্বাচন বয়কট করা উচিত ছিল।

Advertisements

নির্বাচন তো হেরেই গেছি, বয়কট করলেও হারতাম। কিন্তু এখন আমরা রাহুল গান্ধীর কাছে দাবি করব – যেখানে জোর করে এসআইআর করা হবে, সেখানে কংগ্রেস নির্বাচনে লড়বে না। এরা তোমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সতর্ক হও, কংগ্রেসে যোগ দাও, রাহুল গান্ধীর কথা শোনো আর এসআইআর-এর বিরোধিতা করো।”

   

‘চক্রব্যূহে জড়ালে বের হওয়া মুশকিল’, পদত্যাগের পর প্রথম জনসভায় ধনখড়ের

ইরফানের এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিজেপি হাতিয়ার পেয়ে গেছে। বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য তৎক্ষণাৎ লিখেছেন, “কংগ্রেসের মন্ত্রীই বলছেন, জাতিগত জনগণনা জোর করে চাপানো হচ্ছে আর তাতে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

ইন্ডিয়া জোটের আসল মুখোশ খুলে গেল।” ঝাড়খণ্ড বিজেপির সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি বলেছেন, “একজন দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী যখন নির্বাচন বয়কটের কথা বলছেন, তখন বোঝা যায় হেমন্ত সরকারের মধ্যে কতটা হতাশা আর ভয় কাজ করছে।”

Advertisements

আসলে ইরফান আনসারী কী নিয়ে এত উত্তেজিত? পটভূমি হল ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ২০২৩-এর নভেম্বরে নিজস্ব ‘ঝাড়খণ্ড জাতি গণনা’ (এসআইআর) সম্পন্ন করেছে। তার ফলাফল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় জানিয়েছেন, আগামী জনগণনা ২০২৭ সালের মধ্যে হবে এবং তাতে জাতিগত গণনা থাকবে কি না, তা এখনও স্থির হয়নি।

এরপরই জেএমএম-কংগ্রেসের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে, কেন্দ্র যদি জাতিগত গণনা না করে, তাহলে ঝাড়খণ্ডের তৈরি করা এসআইআর রিপোর্টের কোনো আইনি মূল্য থাকবে না। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তারা ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।ইরফানের ভয়, বিহারের মতো ঝাড়খণ্ডেও যদি কেন্দ্র এসআইআর-কে অস্বীকার করে, তাহলে আদিবাসী-ওবিসি ভোটব্যাঙ্কে ধাক্কা লাগবে।

বিহারে নীতীশ কুমার ২০২৩-এ জাতিগত জনগণনা করিয়ে ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের নেতারা ভয় পাচ্ছেন একই পরিণতি হবে। তাই ইরফান প্রকাশ্যে বলে দিলেন, “যদি জোর করে এসআইআর না মানা হয়, তাহলে নির্বাচনই বয়কট করা উচিত।”