বীরভূমের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেতৃত্বকে ঘিরে এক শক্তিশালী বার্তা দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) । রবিবার বীরভূমের তারাপীঠে রামপুরহাট-২ ব্লকে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের মহিলা কর্মী সম্মেলনে তিনি এক কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়, যেসব মহিলারা নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত নয়।
শতাব্দী রায়ের বক্তব্যে উঠে আসে দলের শৃঙ্খলা ও দায়িত্বের গুরুত্ব। তিনি বলেন, “যাঁরা নিজের দায়িত্ব পালন করছেন না, সেই সমস্ত মহিলাদের ভোটে প্রার্থী হওয়া উচিত নয়। স্বামী, ভাই, শ্বশুরকে দিয়ে পঞ্চায়েতের কাজ চালানো যাবে না।” তাঁর এই মন্তব্যে বোঝা যায়, তিনি ব্যক্তি বা পারিবারিক সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল নেতৃত্বকে কঠোরভাবে মানছেন না। দলের নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব তিনি বারবার উল্লেখ করেন।
সম্মেলনে শতাব্দী রায় আরও বলেন, পঞ্চায়েত বা স্থানীয় স্তরের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন শুধু নামের জন্য নয়, বরং জনগণের সেবার জন্য। এক জায়গায় বসে পরিবারের লোকদের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করা হলে তা দলের জন্যও ক্ষতিকর। তিনি স্পষ্ট করে জানান, দায়িত্বহীন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না, আর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁর এই বক্তব্য অনেক মহিলা নেত্রী ও কর্মীকে সতর্ক করেছে যে, দায়িত্বহীনতা দলে কোনো প্রকার প্রাধান্য বা ছাড় দেবে না। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ এবং সক্রিয় নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। তাই দায়িত্ব পালন করা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্বহীনতা বা উদাসীনতার কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে তা দল ও ভোটারদের জন্য ক্ষতিকর। সাংসদ শতাব্দী রায় যোগ করেন, “যদি আপনি দায়িত্ব নিতে ভয় পান বা নিজের কাজ সঠিকভাবে করতে না পারেন, তবে পদত্যাগ করা আপনার জন্য শ্রেয়।”
তারাপীঠে অনুষ্ঠিত এই মহিলা কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেত্রী ও কর্মীরা এই বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেন। অনেকেই বলেন, শতাব্দী রায়ের এই বার্তা দলকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও দায়িত্বশীল রাখার একটি প্রয়াস। একই সঙ্গে এটি নতুন প্রজন্মের মহিলা নেত্রীদের জন্যও একটি সতর্কবার্তা যে, শুধুমাত্র পদে থাকা নয়, দায়িত্ব পালন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।


