ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলবিরোধী কার্যকলাপ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তাঁর বক্তব্য, দলের নিয়ম ভেঙে হুমায়ুন কবীর বারবার এমন মন্তব্য ও পদক্ষেপ নিয়েছেন যা তৃণমূলের নীতি-আদর্শের পরিপন্থী।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়—সাসপেন্ড হওয়ার পরেই বিস্ফোরক হুঙ্কার দিলেন হুমায়ুন কবীর। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,“ফিরহাদ হাকিমের কথার জবাব দেব না। আগামীকালই দল ছাড়ছি। ২২ তারিখ নতুন দলের ঘোষণা করব।” হুমায়ুন কবীর অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দলের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রব্যূহ রচনা করা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে ব্যবহার করে এখন বাদ দেওয়া হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান যে তিনি শিগগিরই বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। “আগামীকাল অথবা আগামী সোমবার বিধায়ক পদেও ইস্তফা দেব।” এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ভরতপুরে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা থাকায় তাঁর এই সিদ্ধান্ত দলের ভিতরে ও বাইরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন ২২ তারিখ। এই ঘোষণাই প্রমাণ করে যে তিনি শুধুমাত্র দল ছাড়তেই চাইছেন না, বরং সক্রিয়ভাবে পরবর্তী রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁর ভাষায়,
“২২ তারিখ নতুন দলের ঘোষণা করব। আমি একা লড়াই করতে ভয় পাই না।” এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের সরাসরি আগাম বার্তা। হুমায়ুন আরও বলেন, “আগামী বিধানসভা ভোটে ১৩৫টি আসনে লড়ব। বিজেপির বিরুদ্ধেও লড়ব, তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়ব।”
