বহরমপুর: বাবরি মসজিদ শিলান্যাস হবেই। দিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতি ঠিক সেই পরিকল্পনাতেই নিজের বাস ভবন থেকে রওনা হলেন হুমায়ন কবির (Humayun Kabir Babri Masjid foundation)। তিনি বলেছেন, “আজ আমি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করব… কিছু বলব না। পুলিশ আমাকে সাপোর্ট করছে।
আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কলকাতা হাইকোর্টের গতকালকের আদেশ অনুসারে পুলিশ আমাকে সুরক্ষা দিয়েছে।” এই ঘোষণা রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে, বিশেষ করে এপ্রিল মাসের ওয়াকফ (আমেন্ডমেন্ট) বিল নিয়ে দাঙ্গার পর মুর্শিদাবাদ এখনও অস্থির।
মুর্শিদাবাদ দাঙ্গা নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
হুমায়ুন কবিরের এই পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং একটা বড় বিদ্রোহের প্রতীক। টিএমসি থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরও তিনি পিছপা হননি। বৃহস্পতিবার পার্টি নেতৃত্ব তাঁকে সাসপেন্ড করে। পার্টির তরফ থেকে বলা হয়েছিল হুমায়ুন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছেন বাংলায়। মেরুকরণের রাজনীয়ই তৃণমূল সমর্থন করেনা বলেও জানিয়েছিল দল।
কিন্তু হুমায়ুন বলছেন, “আমি এমএলএ পদ থেকে পদত্যাগ করব, ২২ ডিসেম্বর নিজের পার্টি গঠন করব। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠান হবেই, গ্রেফতার হই বা মারা যাই।” তাঁর দাবি, এই মসজিদটি শুধু ধর্মীয় নয়, একটা বড় প্রকল্পের অংশ—২০ বিঘে জমিতে মসজিদের পাশাপাশি কলেজ, হাসপাতাল এবং রেস্ট হাউস তৈরি হবে, খরচ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।
সৌদি আরব থেকে আসা ক্লেরিকরা কুরআন পাঠ করবেন, ৪০ হাজার বিরিয়ানি এবং ২০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হবে। সকাল থেকেই সমর্থকরা ইটের বোঝা মাথায় নিয়ে মার্চ করছেন, একজন স্থানীয় মোহাম্মদ সাফিকুল ইসলাম বলছেন, “হুমায়ুন ভাইয়ের নির্দেশে আমি ইট নিয়ে যাচ্ছি, এটা বাবরি মসজিদের জন্য আমার অবদান।”
কলকাতা হাইকোর্টের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল একটি রিট পিটিশনে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে বলেছে, “আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।” বিভাগীয় বেঞ্চ অ্যাকটিং চিফ জাস্টিসের নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে রাজ্যকে শান্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর থেকে মুর্শিদাবাদে নিরাপত্তা চরমে: ৩০০০ পুলিশবল মোতায়েন, দুটি থানার অতিরিক্ত ফোর্স, এনএইচ-১২ হাইওয়ে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা। বেলডাঙ্গা পুলিশ স্টেশনে সকাল থেকে ফোর্স জড়ো হয়েছে, এবং হুমায়ুনের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের মিটিং হয়েছে।


