কলকাতা: রাজ্যের রাজনীতিতে নয়া দুই প্রতিপক্ষ (Bengal Politics)। একদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আর অন্য দিকে বাংলাপক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন “বাংলা থেকে প্রতি বছর কর, রাজস্ব, কয়লা, তেল লুঠ করে দিল্লী কিন্তু বাংলার বন্যায় দিল্লী কোন টাকা দেয়নি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার মিডিয়া সাথে নিয়ে সবজি বাজারে ঢুকে বাঙালির থেকে টাকা তুলছে। তিনি আরও বলেছেন, লজ্জা হয়না? কেন্দ্র সরকারের থেকে ৫ টাকা আনার যোগ্যতা নেই সুকান্তদের।” তার নিজের কেন্দ্র বালুরঘাটে ১৫ বছর আগে ঘোষিত বুনিয়াদপুর রেল কারখানা প্রকল্প বিজেপি বন্ধ করে দিয়েছে। সুকান্ত টুঁ শব্দ করতে পারেনি।
শিল্ড ফাইনালে ওঠার রাস্তা সহজ হয়ে গেল লাল-হলুদের
মুখ খুললেই চাকরি যাবে চাকরের। সুকান্ত দিল্লীর চাকর কিন্তু দিল্লী বাঙালির প্রভু না। সোশ্যাল মিডিয়াতে গর্গ র এই বক্তব্যের সমর্থনে সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন বিজেপি বাংলার গরিব মানুষদের লুট করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি। কিন্তু পরিবর্তে কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চিত করছে। উত্তরবঙ্গের বন্যায় কোনোরকম সাহায্য আসেনি দিল্লি থেকে।
আবার অনেকে বলেছেন বাজার থেকে তোলা টাকা সুকান্ত দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। গর্গ র এই পোস্ট নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশও তারা বলেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বাংলা সবসময়ে বঞ্চিত। কেন্দ্র থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তার পরিবর্তে অবশ্য বিজেপি সরব হয়ে বলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেক বার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছেন কিন্তু সেই টাকা থেকে কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল। তারপর থেকেই বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রের অনুদান। বিজেপি আরও বলেছে কেন্দ্র থেকে ত্রাণের টাকা এসেছে কিন্তু তা পকেটস্থ করেছে তৃণমূল।
সুতরাং তারা স্পষ্টতই দাবি করেছে গর্গ শুধু তৃণমূলের চাটুকারিতাই করছেন না করছেন তঞ্চকতাও। বিজেপি আরও বলেছে উত্তরের বন্যায় যদি ত্রাণের জন্য সুকান্ত হাত পাতেন তাতে ক্ষতি কি। এর আগেও বড় বড় বন্যায় সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা রাস্তায় নেমে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন। ৭৪ এর বন্যায় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব এবং চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্বরাও রাস্তায় নেমে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন, এসব সাধারণ ব্যাপার নিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।