রাজ্যে চলতি ভোটগণনার প্রস্তুতি ও এনিউমারেশন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে সোমবার রাত আটটায় জরুরি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজকুমার আগরওয়াল। জানা গিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব জেলার নির্বাচনী (Election Commition) আধিকারিকদের পাশাপাশি মোট ২৯৪ জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-কে। কমিশন সূত্রে খবর, এনিউমারেশন সংক্রান্ত কাজের গতি সন্তোষজনক কি না, কোথাও গাফিলতি রয়েছে কি না, সেই সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
এনিউমারেশন অর্থাৎ ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করার কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ আছে। এর মধ্যে বিশেষ করে ভোটারদের কাছে এনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়া এবং তা আপলোড করার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশ অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম বিতরণ এবং আপলোডিং-এর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। কাজের গতি রাজ্যজুড়ে এক নয়—কোথাও এগিয়েছে দ্রুত, কোথাও আবার পিছিয়ে রয়েছে বলে প্রশাসনিক মহলের একাংশের মত।
এই পরিস্থিতিতে CEO-র জরুরি বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কমিশন পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনও জেলাই সময়সীমা লঙ্ঘন করতে পারবে না। যে সমস্ত জেলার কাজ পিছিয়ে রয়েছে, সেসব জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে বৈঠকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কেবলমাত্র যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারলেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। না হলে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে সূত্র মারফত।
বৈঠক ঘিরে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী দফতরগুলোতে তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক জেলা ইতিমধ্যেই ফর্ম বিলিতে ৮০–৯০ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছে বলে দাবি করেছে। অপরদিকে কয়েকটি জেলার কাজ এখনও ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানা যাচ্ছে। এনিউমারেশন ফর্ম সাধারণত সম্ভাব্য ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় যাতে তাঁদের বয়স, ঠিকানা, পরিচিতি সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যায়। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের নাম যুক্ত করা, ভুল তথ্য সংশোধন, ঠিকানার পরিবর্তনসহ সমস্ত কাজ এই সময়েই সম্পন্ন হয়। তাই সময়সীমার মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
