HomeBharatআর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির নোটিস

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির নোটিস

- Advertisement -

কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED notice to Kerala Chief Minister) কেরলের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সাবেক অর্থমন্ত্রী টি.এম. থমাস ইসাক এবং মুখ্যমন্ত্রীর চিফ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কে.এম. আব্রাহামের বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) এর অধীনে ৪৬৬ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার শো-কজ নোটিশ জারি করেছে ইডি।

এই নোটিশটি ২০১৯ সালের কেরল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ড (কিআইআইএফবি)-এর মসলা বন্ড ইস্যুর সাথে জড়িত। বিজেপি-সরকারের এই পদক্ষেপকে সিপিআই(এম) ‘নির্বাচনী প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে, যখন বিরোধী কংগ্রেস এটাকে ‘অর্থীয় অপব্যবহারের প্রমাণ’ বলে দাবি করছে। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নির্বাচনের সামনে এই ঘটনা রাজ্যের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।মসলা বন্ড কী এবং কেন এত বিতর্ক?

   

SIR নিয়ে বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের বড় পদক্ষেপ

এটি রুপে-ডিনোমিনেটেড অফশোর বন্ড, যা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ইস্যু করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কিআইআইএফবি লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো এমন বন্ড ইস্যু করে প্রায় ২,১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। এই অর্থ রাজ্যের বড়-বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ। কিআইআইএফবির লক্ষ্য ছিল ৫০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কেরালাকে একটা আধুনিক রূপ দেওয়া।

তখনকার অর্থমন্ত্রী থমাস ইসাক এই উদ্যোগের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন, এবং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকার এটিকে ‘রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ধাপ’ বলে প্রচার করেছিল। বন্ডের সুদের হার ছিল ৯.৭২৩ শতাংশ, যা দেশীয় বোন্ডের চেয়ে বেশি, কিন্তু রাজ্যের ঋণের চাপ কমানোর জন্য এটি একটা কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল।

মসলা বন্ড কী এবং কেন এত বিতর্ক? এটি রুপে-ডিনোমিনেটেড অফশোর বন্ড, যা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ইস্যু করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কিআইআইএফবি লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো এমন বন্ড ইস্যু করে প্রায় ২,১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।

এই অর্থ রাজ্যের বড়-বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ। কিআইআইএফবির লক্ষ্য ছিল ৫০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কেরালাকে একটা আধুনিক রূপ দেওয়া।

তখনকার অর্থমন্ত্রী থমাস ইসাক এই উদ্যোগের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন, এবং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকার এটিকে ‘রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ধাপ’ বলে প্রচার করেছিল। বন্ডের সুদের হার ছিল ৯.৭২৩ শতাংশ, যা দেশীয় বোন্ডের চেয়ে বেশি, কিন্তু রাজ্যের ঋণের চাপ কমানোর জন্য এটি একটা কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে ইডি এই বন্ডের ফান্ডের এন্ড-ইউজ এবং ফেমা-আরবিআই নিয়ম মেনে চলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

অভিযোগ উঠেছে যে, বন্ড থেকে সংগ্রহিত অর্থের একটা অংশ—প্রায় ৪৬৬ কোটি টাকা—জমি কেনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা আরবিআই-এর গাইডলাইনের সরাসরি লঙ্ঘন। ফেমা-র অধীনে এমন অফশোর ফান্ডসের ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, এবং জমি ক্রয়কে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। ইডির তদন্তে বলা হয়েছে, এতে ফরেন এক্সচেঞ্জের অনিয়ম এবং ফান্ড ডাইভারশন হয়েছে।

- Advertisement -
online desk
online desk
Get Bengali news updates, Bengali News Headlines , Latest Bangla Khabar, Bengali News from Kolkata
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular