কলকাতা: দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল পড়ুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযযোগ করেছেন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন এই গণ ধর্ষণ কাণ্ডে যারা ধরা পড়েছেন তারা প্রত্যেকেই দুর্গপুরের বাসিন্দা। তাও তাদের ধরতে তিন দিন সময় লাগল কেন? তিনি অভিযোগ করেছেন এই তিনদিন সময় নষ্ট করে পুলিশ ধর্ষণের প্রমান লোপাট করে দিয়েছে।
তিনি রাজ্য পুলিশকে উদ্দেশ করে আরো বলেছেন যে এমন বিচক্ষণ পুলিশ তিনি এর আগে কখনোই দেখেননি। দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে শেখ নাসিম উদ্দিন, শেখ রিয়াজ উদ্দিন, শেখ ফেরদৌস এবং শেখ সফিকুল। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বিজড়া গ্রামে। তবুও এদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের এত সময় কেন লাগল তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন সুকান্ত।
গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের এই বেসরকারি কলেজে ঘটে যায় এই নক্কারজনক ঘটনা। রাতে খাবার কিনতে বাইরে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় জলেশ্বর থেকে আসা এক দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। ঘটনার পরেই শুরু হয় তদন্ত এবং সেই সঙ্গে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। উত্তরবঙ্গ সফরে যাবার ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাতে মেয়েদের বাইরে বেরোনোর নিয়ম নেই বলে মন্তব্য করেন।
সেই মন্তব্যে ওঠে বিতর্কের ঝড় এবং বিরোধীদল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সরব হয় সমালোচনায়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষও এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বহুভাবে। আজ সুকান্ত মজুমদারের এই বিষ্ফোরক অভিযোগের পরে রাজনৈতিক মহলের একাংশ তাকে সমর্থন করে বলেছে পুলিশ পুরো ঘটনায় জড়িত এবং উপর মহলের চাপে প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশ প্রমান লোপাটের চেষ্টা করে।
তারা দাবি করেছে যে অভয়া কান্ডেও পুলিশ তাদের সাধ্যমত প্রমান লোপাট করেছে এবং তার তদন্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের কারুর কারুর গলায় শোনা গিয়েছে ব্যাতিক্রমি সুর। এই ঘটনায় তারা বলেছে বিজেপি যেন প্রত্যেকটি ঘটনায় রাজনীতির রং না লাগায়। তবে সুকান্তর আজকের মন্তব্যকে সমর্থন করে অনেকেই বলেছেন সুকান্তর অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মত নয়।
এর আগেও বহু ঘটনায় পুলিশ প্রমান লোপাট করেছে দোষীকে বাঁচাবার জন্য। আবার অনেকেই তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতির উদাহরণ দিয়ে বলেছেন মমতা সরকার তার তোষণনীতির স্বার্থ চরিতার্থ করবেই এবং দোষীদের কোনো শাস্তি হবে না।