SIR নিয়ে মিথ্যাচার সিপিআইএমের দীপ্সিতার

dipsita-dhar-misinformation-sir-west-bengal-cpim-controversy

কলকাতা: বাংলায় SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন হবেই। ঠিক হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ। তার সঙ্গে বেড়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল তো বটেই এবার তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বামেরাও SIR এবং তার সঙ্গে CAA, NRC মিলিয়ে বিরোধিতা শুরু করেছে। এই পদাঙ্ক অনুসরণ করেই CAA নিয়ে মিথ্যাচার করছেন সিপিএমের যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর। বাংলায় SIR হলে তার ফল কি হবে তা নিয়ে বুধবার তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন এবং মূল তথ্য বিকৃত করেন।

Advertisements

দীপ্সিতা তার পোস্টে হিন্দু শরণার্থীদের সতর্ক করেন এবং বলেন SIR এর সঙ্গে CAA করতে চাইছে এমনই ছক কেন্দ্রীয় সরকারের। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন “বিজেপি বলছে CAA তে অ্যাপলাই করুন কোনো সমস্যা হবেনা। যেটা বলছেনা তা হল নাগরিকত্ব এর জন্য আবেদন করা মানেই আপনি যে বেনাগরিক, ঘুষপেটিয়া সেটা স্বীকার করে নেওয়া। আসামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তাঁদের অবস্থা কি! ডিটেনশন ক্যাম্প এ হিন্দু মানুষের অনুপাত গুনুন। বুঝবেন এ আমাদের জন্য কতবড় ফাঁদ।”

   

দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল এবং তার দোসর হয়ে সিপিএম প্রচার করছে যে CAA তে অ্যাপলাই করলেই হিন্দু শরণার্থীদের নিজেদের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করতে হবে। ঠিক এই বিষয় নিয়েই সপ্তাহ খানেক আগে একটি চ্যানেলের টক শোতে বিতর্ক সৃষ্টি হয় অধ্যাপক অর্ণব সাহা এবং তরুণ জ্যোতি তিওয়ারির মধ্যে। তৃণমূল পন্থী এই অধ্যাপক এই একই দাবি করেন এবং বলেন CAA মানে নিজের নাগরিকত্বকে আত্মসমর্পন করা।

সেখানে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে তরুণজ্যোতি তথ্য বিকৃতির জন্য মামলা দায়ের করবেন বলেন এবং করেনও। যার ফলে পরিবর্তী একটি অনুষ্ঠানে তাকে সর্বসমক্ষে ক্ষমাও চাইতে হয়। তার সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন তার বক্তব্য ভুল ছিল। কিন্তু এই ঘটনা সত্ত্বেও সেই একই ভুল জারি রেখেছে সিপিএম এবং তার প্রতিফলন পাওয়া গেছে দীপ্সিতার ফেসবুক পোস্টে।

Advertisements

সেখানে তিনি সেই একই ভাবে তথ্য বিকৃত করে নাগরিকত্ব সারেন্ডারের কথা বলেছেন। এবং তার সঙ্গে হিন্দু শরণার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই বলে যে SIR হলে তাদের নাম বাদ যাবে এবং তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

দিন তিনেক আগে এই বিষয়েই তরুণজ্যোতি একটি পোস্ট করেছিলেন এবং সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিলেন “কেউ যদি CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করেন, তবে তিনি আবেদনের কারণে তাঁর বিদ্যমান অধিকার ও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না।

অর্থাৎ, ওপার বাংলা থেকে অত্যাচারিত হয়ে যারা পশ্চিমবঙ্গে এসে কোনওভাবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা পেয়েছেন তারা CAA-তে আবেদন করলে তাদের ভোটাধিকার বা অন্য সুবিধা বাতিল হবে না। এটা আমি বলছি না এটা ভারত সরকারের আইন বলছে।” সুতরাং ভারত সরকারের আইন এবং তরুণজ্যোতির পোস্টার নিরিখে বোঝাই যাচ্ছে যে SIR এর সঙ্গে NRC CAA নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল এবং সিপিএম।