তৃণমূলের SIR আপত্তি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

dilip-ghosh-on-tmc-sir-controversy-naihati-bengal-politics

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলায় উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিজেপি তৃণমূল দ্বন্দ্ব এখন প্রত্যেকদিনের রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত এ টি ঘোষ লেনের বাসিন্দা সালেয়া খাতুন ২৮ বছর ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন।

Advertisements

করাচির বাসিন্দা হয়েও এই রাজ্যে এসে ভোটার কার্ড বানিয়ে ভোট দিচ্ছেন ২০০৮ সাল থেকে! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেছেন ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে তৃণমূলের আপত্তির কারণ এই ধরণের ভোটারদের উপস্থিতি।

আইপিএলের ভ্যালুয়েশন ধাক্কা খেল, ২০২৫-এ নেমে গেল ৮.৮ বিলিয়নে

তৃণমূল SIR নিয়ে ঝামেলা পাকাতে চাইছে কারণ রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন হলে এই ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যে আর কোনও জায়গা পাবে না। ফলে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে। দিলীপ ঘোষ বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা হলেও আজ দলে তিনি প্রায় ব্রাত্য। তা সত্ত্বেও তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভিডিও বার্তা তুলে ধরে তৃণমূলকে দায়ী করেছেন।

Advertisements

তার এই ভিডিও বার্তায় সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ ও। তাদের প্রতিক্রিয়ায় শুধু নৈহাটী নয় জেলা এবং খোদ কলকাতাতেও এমন প্রচুর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা আছেন যারা দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে ভোট দিচ্ছেন এবং তৃণমূলকে জেতাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা তৃণমূলের মুসলিম তোষণকে নিন্দা করে বলেছেন এই ধরণের লোকেরা বাংলায় থেকে বাংলার ক্ষতি করছে এবং তাদের ভাতা এবং সবরকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে পুষছে রাজ্য সরকার।

অনেকে আবার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন মুজিব হত্যার অন্যতম চক্রী মাজেদ দীর্ঘদিন ধরে নাম ভাঁড়িয়ে এই রাজ্যে বসবাস করেছে কেউ তাকে ধরতে পারেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ সরব হয়ে উঠেছেন এবং বিবৃতি দিয়েছেন যে সীমান্ত অঞ্চলে বেড়া দেওয়ার জন্য কেন্দ্র বার বার চিঠি পাঠালেও জমি অধিগ্রহনের কোনও আগ্রহ দেখায়নি রাজ্য সরকার।

তার কারণ হল এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে স্থান দেওয়া। তারা আরও বলেছেন সীমান্তে বেড়া পড়লে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন হলে এই অনুপ্রবেশকারীরা আর বাংলায় ঢুকতে পারবে না তাতে ক্ষতি হবে তৃণমূলের। তবে নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা সময় বলবে কিন্তু এখন এটাই দেখার করাচির এই বাসিন্দাকে নিয়ে বাংলার সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়।