“জাঁকজমকের দম্ভ অনেক সময় নিজেরই কাঁধে কুঠার হয়ে নামে” ধুবড়ির সাংসদ রকিবুল হুসেইনের পুত্র তাঞ্জিল হুসেইনের ঘটনাই যেন তার তাজা উদাহরণ। পিতার লালবাতিযুক্ত ভিআইপি গাড়িতে রাজকীয় ভঙ্গিতে চলতে গিয়ে মেঘালয়ের রি-ভাই জেলায় এমনভাবে পুলিশের জালে ধরা খেলেন যে “ভিআইপি দাপট মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার” হয়ে গেল। গাড়ি থামানো, জব্দ, জরিমানা সব মিলিয়ে ঘটনাটি মুহূর্তে ভাইরাল।
বৃহস্পতিবার শিলং থেকে গুয়াহাটি ফেরার পথে মেঘালয় পুলিশ তাঞ্জিলের ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়িটি (নম্বর AS-02AM 6186) থামিয়ে দেয়। গাড়িতে তখন সাংসদ উপস্থিত না থাকলেও তাঁর লালবাতিযুক্ত ভিআইপি গাড়িতে তাঞ্জিল ও চালক ছাড়া আর কেউ ছিল না। পুলিশের প্রশ্ন *“যার গরু তার গাড়ি” *সাংসদের অনুপস্থিতিতে ভিআইপি লাইট ব্যবহারের বৈধতা কোথায়? আইনের চোখে সবাই সমান “ধনীর ধন, গরিবের মন” কিন্তু আইন কারও দিকে তাকিয়ে বদলায় না।
ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়! মঙ্গল অভিযানের লঞ্চ স্থগিত করল নাসা
সেই কারণেই রি-ভাই জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার ভি. এস. রাঠোর রাস্তার মাঝেই গাড়ি আটক করেন এবং লালবাতির অপব্যবহারের জন্য জরিমানাও ধার্য করেন। ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। অনেকেই বলছেন, “যেমন কর্ম তেমন ফল” ভিআইপি সুবিধার দোহাই দিয়ে পথ চলতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়লেন তাঞ্জিল। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, “বাঘের বংশ যদি গরু হয়, তা হলে কি আর গরুচোর হওয়া আটকায়?” রাজনৈতিক পরিবার হলেও নিয়ম ভাঙলে ছাড় নেই।
উল্লেখ্য, অসমের উপ-নির্বাচনের সময়ও শিরোনামে ছিলেন তাঞ্জিল হুসেইন। সামাগুড়ি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বিজেপির দিপ্লুরঞ্জন শর্মার কাছে হেরে যান। আর এবার মেঘালয়ের ভিআইপি-কাণ্ডে তিনি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে মেঘালয় পুলিশের এই পদক্ষেপ দেখিয়ে দিল—“আইনের কাছে বড়-ছোট বলে কিছু নেই,” আর ভিআইপি ট্যাগ থাকলেই সব দরজা খোলে না। বরং ভুল ব্যবহার করলে উল্টে বন্ধ দরজাই সামনে এসে দাঁড়ায়।
