ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশনে হস্তক্ষেপে নাকচ উচ্চ আদালতের

১০ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই দশ দফা দাবি পূরণ না হলে…

High Court rejects intervention in doctors' hunger strike at Dharmatala.

১০ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই দশ দফা দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশন (Doctors Hunger Strike) জারি থাকবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু ধর্মতলায় চিকিৎসকরা যাতে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে রাস্তার পাশে গিয়ে বসে সেই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে এক বিচারপতির করা মামলার শুনানি ছিল আজ অর্থাৎ সোমবার।

এই মামলা নিয়ে কী বলল হাই কোর্ট? শনিবার রাতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন ছয়জন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্মতলায় রাস্তার প্রায় অধিকাংশ জুড়ে অনশনে বসেছিলেন ডাক্তারেরা। কিন্তু চিকিৎসকদের রাস্তা আটকে না বসিয়ে রাস্তার পাশে গিয়ে বসার জন্য হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এক বিচারপতি। সেই বিচারপতি আদালতে দাবি করে বলেছিলেন, রাস্তার অধিকাংশ জুড়়ে ডাক্তারেরা বসে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

   

তাই তাঁদের রাস্তা ছেড়ে বা রাস্তার পাশে অনশনে বসতে বলা হোক সেই আর্জি করেছিলেন। তবে এবার সোমবার সকালে বিচারপতির সেই আর্জিতে হস্তক্ষেপ করল না উচ্চ আদালত। সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়েছেন, এখন সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই বিষয়ে হাই কোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে ধর্মতলায় যে ছয়জন জুনিয়র চিকিৎসকরা বসেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। কিন্তু সেই আমরণ অনশন মঞ্চে কেন আরজি কর হাসপাতালের কোন চিকিৎসক নেই সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রবিবার রাতেই যোগ দেন এক চিকিৎসক।

রবিবার রাতে ছ’জনের সঙ্গে অনশনে বসেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। এদিকে সোমবার সকালেই ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র চিকিৎসক। তাঁরা সেই মঞ্চে ২৪ ঘণ্টা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন।