CPIM: টানা ২৮ বছর জয়ী কাশ্মীরি কমিউনিস্ট ইউসুফ তারিগামি

টানা ২৮ বছর জয়। কাশ্মীরে একমাত্র ‘লাল তারা’ মহম্মদ ইউসু়ফ তারিগামি (Mohammed Yousuf Tarigami) জয়ী। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গড়বে ইন্ডিয়া জোট। জঙ্গি…

Tarigami CPIM: টানা ২৮ বছর জয়ী কাশ্মীরি কমিউনিস্ট ইউসুফ তারিগামি

টানা ২৮ বছর জয়। কাশ্মীরে একমাত্র ‘লাল তারা’ মহম্মদ ইউসু়ফ তারিগামি (Mohammed Yousuf Tarigami) জয়ী। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গড়বে ইন্ডিয়া জোট। জঙ্গি হামলায় বারবার রক্তাক্ত হয় কুলগাম। এখান থেকেই থেকে জয়ী জোটের অন্যতম শরিক CPIM

কাশ্মীরের কমি়উনিস্ট নেতা ইউসুফ তারিগামি গত ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩৪ ভোটে জয়ী হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারিগামি ৬ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কুলগাম কেন্দ্রে CPIM প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩৬৩৪টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল প্রার্থী (জামাত ইসলামি) আহমেদ রেশি পেয়েছেন ২৬৭৯৬টি ভোট।

   

আলোচিত জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে বিশেষ আলোচিত হচ্ছিলেন কুলগাম বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই কেন্দ্রের বিধায়ক। সর্বশেষ (২০২৪) নির্বাচনেও জিতলেন তারিগামি। টানা ২৮ বছর কুলগাম দখলে রেখে দিল সিপিআইএম। তবে কাশ্মীরের অন্যত্র দলটির অস্তিত্ব নেই।

জাতীয় সংবাদমাধ্যমের নির্বাচনী বিশ্লেষণে উঠে এসেছিল নির্বাচনে জামাত ইসলামি সংগঠনের নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি। নির্দল হিসেবে তারা কাশ্মীরের ভোটে নেমে পড়েন। কুলগামে সিপিআইএমের তারিগামির প্রতিপক্ষ হিসেবে জামাত ইসলামির প্রার্থী আহমেদ রাশিও চর্চিত হন।

নির্বাচনী প্রচারে ইন্ডিয়া শরিক ও বাম তরফে অভিযোগ ছিল, জামাত ইসলামি সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে প্রচার করছে। আরও অভিযোগ, কুলগামসহ পুরো কাশ্মীর জুড়ে জামাত ইসলামির সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছে হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ও বিজেপি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।

বর্ষীয়ান কাশ্মীরী কমিউনিস্ট নেতা তারিগামির নির্বাচনী প্রচারে ছিল প্রবল ভিড়। তিনি দাবি করেছিলেন, ভোটে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করবেন কাশ্মীরবাসী।

ভোট পর্যালোচনায় Frontline জানিয়েছিল, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কাশ্মীরের কমিউনিস্ট নেতা ইউসুফ তারিগামি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। পুনর্বিন্যাসের পর বিধানসভার সীমানায় তারিগামির রাজনৈতিক যাত্রা অভূতপূর্ব হুমকির সম্মুখীন। ১৯৯৬ সাল থেকে কুলগাম জেলা জম্মু ও কাশ্মীরের  একমাত্র বাম রাজনৈতিক ঘাঁটি। ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে টানা জয়ী হন তারিগামি। কাশ্মীরের নির্বাচনে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্থান কুলগাম।

জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বিলোপ ইস্যুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্কে বারবার গৃহবন্দি করা হয়েছিল ইউসুফ তারিগামিকে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে  তৎকালীন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবারের নির্বাচনী প্রচারের মাঝে সীতারাম প্রয়াত হন। প্রচার থেকেই প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে কুলগামে ফের জয় হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন তারিগামি।

সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট ছিল বিশেষ আলোচিত। নির্বাচনে ৯০টি আসনের মধ্যে জম্মু অংশ থেকে বিজেপির প্রত্যাশিত ফলাফল এসেছে। তারাই মূল বিরোধী পক্ষ। কাশ্মীর অংশে ইন্ডিয়া জোটের জ়যজয়কার। কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সিপিআইএমসহ বাকি শরিক দল একের পর এক আসন দখল করেছে।