ঠাঁই নেই বলে ফেরালেও CPIM হোলটাইমার হতে আবেদনপত্রে যুব সমাজের ভিড়

ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই ছোট এ তরী! আক্ষরিক অর্থেই ছোট তবু এখনও জাতীয় দল সিপিআইএম (CPIM)। আর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস…

CPIM youth

ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই ছোট এ তরী! আক্ষরিক অর্থেই ছোট তবু এখনও জাতীয় দল সিপিআইএম (CPIM)। আর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক দল হিসেবে চিহ্নিত। বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গে সিপিআইএম শূন্য হয়ে গেছে বিধানসভায়। অথচ সাংগঠনিক রিপোর্ট থেকে উঠে আসছে চমকপ্রদ তথ্য যুব সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিপিআইএমের সর্বক্ষণের কর্মী হবার জন্য। টিভি নাইন চ্যানেলে এমন সংবাদ সম্প্রচারের পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বাম শিবির শূন্য হয়ে গেলেও সিপিআইএমের শিবিরে সর্বক্ষণের কর্মী হতে যুব সমাজের আগ্রহ চমকে দেয়। ভোটের খরা কাটিয়ে গত পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম শিবির খানিকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে সিপিআইএমে যোগদানের আবেদন বেড়েই চলেছে। জেলাগুলোতেই এই হোল টাইমার হওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পরিচিত মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলি উল্লেখযোগ্য। দলীয় কাজের সর্বক্ষণের কর্মী হতে আবেদন জমা পড়ছে বিস্তর। কখনও সিপিআইএমের তরফে চিঠি দিয়ে আবেদন সংগ্রহ করা হয়। কখনো কর্মী হতে সরাসরি আবেদন জমা পড়ছে।

কলকাতায় একজন হোলটাইমার পান সাড়ে ছয় হাজার টাকা। বর্ধমানের ক্ষেত্রে সাড়ে চার হাজার টাকা। মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে হোলটাইমার হলে অন্য কোনও চাকরি বা পেশায় যুক্ত থাকা চলবেনা। সিপিআইএমের দাবি এর পরেও হোলটাইমার আবেদনের পাহাড় জমছে। আর্থিক সংকটের ফলে সবাইকে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানান বাম নেতারা।

২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকার সাড়ে তিন দশকের শাসনের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর পরে বিরোধী আসনে থাকলেও সিপিআইএমের হোলটাইমারের সংখ্যা কমেছিল। অনেকেই ছেড়ে দিয়েছিলেন পার্টির সারাক্ষণের কাজ। তবে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালের পর থেকে আবার ভিড় জমতে শুরু করেছে। এটা তৃণমূলের দুর্নীতি এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণেই হচ্ছে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের একজনও জয়ী হননি। আর রাজ্যে বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি।

সিপিআইএমের দাবি, বাঙালি বিদ্বেষী ধর্মীয় বিভেদের দল বিজেপি হল তৃণমূলের বি টিম। এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে দুটি দলের মধ্যে নেতা নেত্রীদের ঘনঘন যাতায়াত। এ কারণেই ফের যুব সমাজ বাম শিবিরে আসছেন। দলটির নেতাদের দাবি, সরকার বিরোধী আন্দোলনে সিপিআইএমের ভূমিকায় যুব সমাজ বুঝছে কারা মানুষের পাশে।