কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছেন। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নির্বাচন কমিশন একত্রে সংবিধানকে আক্রমণ করছেন। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, “আমরা যুব সমাজকে জানাতে চাই যে, কীভাবে লোক সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। দেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে কেন্দ্রের নেতৃত্বের দ্বারা হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, জেনারেশন জেড ভোটাররা দেশের ভবিষ্যত এবং তারা পুরো সত্যি জানার অধিকার রাখে।
রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রের নেতৃত্বের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা হ্রাস করছে। যদি মানুষ জানে যে ভোটের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তাহলে তারা অবশ্যই প্রতিবাদ করবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করছেন। রাহুল গান্ধী বলেন, “সংবিধান আমাদের দেশের রক্ষাকবচ। সংবিধান লঙ্ঘন করা মানে দেশের নাগরিকদের অধিকার হরণ করা। এটি শুধু রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য এক বড় হুমকি।”
রাহুলের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী দেশের যুবসমাজকে সতর্ক করতে এবং ভোটাধিকার সুরক্ষায় সচেতন করতে এই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যম ও জনসভায় এই বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগ দেশের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। তাদের মতে, জেনারেশন জেড ভোটাররা প্রযুক্তি সচেতন এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য অর্জন করতে পারে। তাই এই বিষয়টি বিশেষভাবে তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া উদ্রেক করতে পারে।
সাধারণ নাগরিকরা রাহুলের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। শহরের এক যুবক বলেন, “আমরা চাই যে আমাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকুক। যদি সরকার সংবিধানকে উপেক্ষা করে, তাহলে এটি আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। রাহুল গান্ধীর মতো নেতা যখন আমাদের সচেতন করছে, আমরা কৃতজ্ঞ।”


