আমেরিকার গুয়াম আইল্যান্ডে হামলার প্রস্তুতি, মিসাইল মোতায়েন বাড়াচ্ছে চিন, মার্কিন সেনা রিপোর্টে চাঞ্চল্য

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি করেই এবার আমেরিকার দিকে নজর ঘোরাল বেজিং (China)। এবার আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটি অ্যান্ডারসন বেসকে লক্ষ্য করে…

China missile targets US base guam island DIA report reveals

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি করেই এবার আমেরিকার দিকে নজর ঘোরাল বেজিং (China)। এবার আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটি অ্যান্ডারসন বেসকে লক্ষ্য করে বিপুল পরিমানে মিশাইল মোতায়েন বাড়াল জিংপিং প্রশাসন। চিনের এই হুমকি আসলে তাইওয়ানকে দখল করার উদ্দেশ্যেই বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

চিনের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে একটি নতুন বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকার ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ)। ‘নিউক্লিয়ার চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ৬৪ পাতার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেজিং তাদের মাঝারি পাল্লার ‘ডিএফ-২৬’ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের কোড নাম ‘গুয়াম কিলার’ রেখেছে চিনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।

   

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং দূরপাল্লার, যা গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বেসকে টার্গেট করতে সক্ষম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

ডিআইএ-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চিনের সরকার তাদের সামরিক আধুনিকীকরণে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অস্ত্রভাণ্ডার এবং কৌশলগত সক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটাচ্ছে। রিপোর্টের একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে, বেজিংয়ের নতুন কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, যদি চিন তাদের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে এবং সেগুলির সঠিক ব্যবহার করে, তবে তা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে।