যোগী রাজ্যে বরেলি হিংসার চক্রীর বাড়িতে চলল বুলডোজার

bulldozer-action-bareilly-communal-violence-illegal-market-demolished

বরেলি: উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিণামে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আরেকটি উদাহরণ দেখা গেল। শনিবার বরেলী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডিএ) বুলডোজার চালিয়ে ইত্তেহাদ-ই-মিল্লত কাউন্সিলের (আইএমসি) প্রেসিডেন্ট মাউলানা তৌকির রজা খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ আরিফের অবৈধ মার্কেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অবৈধ নির্মাণে প্রায় ১৬টি দোকান ছিল, যা সরকারি জমি এবং রাস্তায় অননুমোদিতভাবে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisements

হিংসাকারীরা যেন বুঝে নেয় যে, আইনের লঙ্ঘনের কোনো স্থান নেই – এই বার্তা নিয়ে প্রশাসনের এই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে। বিজেপি নেতারা এটাকে ‘আইনের বিজয়’ বলে উদযাপন করছে, কিন্তু বিরোধীরা ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র অভিযোগ তুলেছে।ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর, যখন বরেলী শহরে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ প্রচারণার নামে একটি জুলুমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

   

দেশে প্রথমবার বিমানবন্দরে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি

আলা হাজরত দরগাহ এবং মাউলানা তৌকির রজার বাসভবনের কাছে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয় এবং পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়ে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং পরিস্থিতি অব্যবস্থ হয়ে ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে জুলুম ছত্রভঙ্গ করে এবং এরপর থেকে তদন্ত শুরু হয়। তৌকির রজা, যিনি আইএমসি-এর প্রভাবশালী নেতা এবং স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তাঁকে হিংসার মূলে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

তাঁর সঙ্গে জড়িত ডক্টর নফিস খান (রাজা নামে পরিচিত), নাদিম খান এবং অন্যান্য সহযোগীরাও জেলে। এখন পর্যন্ত এই হিংসা মামলায় ৬২ জনেরও বেশি লোক গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে, তৌকিরের সহযোগীরা হিংসার জন্য অর্থায়ন এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছে।

Advertisements

এই হিংসার পরপরই প্রশাসন অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান শুরু করে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ফাইক এনক্লেভ, জগতপুর এবং বরেলীর পুরনো শহর এলাকায় যৌথ ইনস্পেকশন চালানো হয় এবং তৌকিরের সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত আটটি অবৈধ সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে ফারহাতের বাড়ি, যেখানে তৌকির হিংসার সময় লুকিয়ে ছিলেন এবং যা সিল করে দেওয়া হয়। ৪ অক্টোবর জখিরা এলাকায় ডক্টর নফিসের ‘রাজা প্যালেস’ – একটি বড় বিয়ের হল – ধ্বংস করা হয়। বিডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টর মণিকান্দন এ বলেছেন, “এটি নিয়মিত অভিযানের অংশ।

২০২৪-এ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৭ মে, ২০২৫-এ ধ্বংসের আদেশ জারি হয়েছে। নির্মাণ অনুমোদিত ম্যাপ ছাড়াই করা হয়েছে।” রবিবার পর্যন্ত এই হলের ৭০ শতাংশ ধসিয়ে ফেলা হয় এবং বাকি অংশটি শ্রমিকদের সাহায্যে সাফ করা হয়। এছাড়া, পাহলওয়ান সাহেব দরগাহের উপরে তৈরি দোকানগুলোও চিহ্নিত হয়েছে।