আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এই তথ্য জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার। আসন্ন ভোটের আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবেই BLOদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে রাজ্যজুড়ে।
জ্ঞানেশ কুমার জানান, ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদের সময় BLOদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং প্রত্যেকটি ভোটারের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের দায়িত্ব তাঁদের ওপরেই থাকে। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে BLOদের নতুন দায়িত্ব, কাজের পদ্ধতি এবং অনলাইন প্রক্রিয়ার নিয়মাবলি বিস্তারিতভাবে বোঝানো হবে।
তিনি আরও জানান, “সমস্যা হলে BLOরা কোনও ভোটারের বাড়িতে তিনবার পর্যন্ত যাবেন, যাতে কেউ বাদ না পড়ে। প্রতিটি ভোটারের হাতে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে, যাতে নাগরিকেরা সহজেই তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত বা সংশোধন করতে পারেন।”
শহর ও শহরতলির এলাকায় এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া আরও আধুনিক হতে চলেছে। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, শহুরে ভোটারদের সুবিধার জন্য এনুমারেশন ফর্ম অনলাইনেও পূরণ করা যাবে। অর্থাৎ, ভোটাররা বাড়ি বসেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের তথ্য জমা দিতে পারবেন। এটি সময় ও পরিশ্রম দুইই বাঁচাবে, এবং প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এবারের ভোটার তালিকা তৈরির সময় বুথগুলির কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রতিটি বুথে সর্বাধিক ১২০০ জন ভোটার রাখা হবে। জ্ঞানেশ কুমারের কথায়, “ভোটারদের সুবিধার্থে বুথ পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। কোনও বুথেই ১২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না, যাতে ভোটের দিন ভিড় বা বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।”
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। BLOদের শেখানো হবে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করবেন, ভোটার তালিকায় নতুন নাম যুক্ত করবেন, পুরোনো তথ্য সংশোধন করবেন, এবং প্রয়োজনে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেবেন।


