তৃণমূলে ফিরছেন অর্জুন-তাপস? একুশের মঞ্চে মমতার মন্তব্যে শুরু জল্পনা

ভুল-ক্রুটি শুধরে নিতে (Mamata Banerjee) হবে। মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। যেখানে হার হয়েছে, সেখানে ফলাফলের পর্যালোচনা করতে হবে। মানুষ কেন দূরে ঠেলে দিল,…

ভুল-ক্রুটি শুধরে নিতে (Mamata Banerjee) হবে। মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। যেখানে হার হয়েছে, সেখানে ফলাফলের পর্যালোচনা করতে হবে। মানুষ কেন দূরে ঠেলে দিল, তার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে হবে। যদি কোনও পুরনো সাথী রাগ করে বসে থাকে, অভিমান করে বসে থাকে, তাকে ডেকে আনবেন, ডেকে এনে কাজ করবেন। একুশের মঞ্চ থেকে এভাবেই তৃণমূলের গতিপথ এঁকে দিলেন মমতা।

চব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূল নজরকাড়া ফল করলেও শহরাঞ্চলে দলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। বিভিন্ন কারণে পুরসভাগুলিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। আর তাই ভোট মিটতেই ময়দানে নেমেছেন প্রশাসক মমতা। কখনও সরকারি জমি দখল নিয়ে পুলিশ-পুরসভাকে ধমকেছেন, আবার কখনও সংগঠন নিয়ে দলের নেতাদের তুলোধনা করেছেন। এরই মধ্যে ‘অভিমানী’ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিরাট মন্তব্য করলেন মমতা।

   

প্রয়োজনে তাঁদের দলে ফেরানোর ডাকও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার কথায়, আমরা কেউ নেতা নই। কর্মীরা ছাড়া কোনও কিছু হতে পারে না। কর্মীরা আমাদের সম্পদ। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, কাউকে অবহেলা করে নয়। যদি কোনও পুরনো সাথী রাগ করে বসে থাকে, অভিমান করে বসে থাকে, তাকে ডেকে আনবেন, ডেকে এনে কাজ করবেন।

একুশের মঞ্চ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার

মমতার এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পুরনো সাথী বলতে কি তাহলে দলত্যাগী হেভিওয়েট নেতাদের কথাই বুঝিয়েছেন মমতা? যারা দলের প্রতি অভিমান করে বিজেপি যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অবশ্য আর একটি শব্দও বলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তাই মমতার এহেন মন্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘অভিমানী দলত্যাগী’ হিসেবে যে দুটি নামের কথা প্রথমেই বলতে হয়, তা হল তাপস রায় এবং অর্জুন সিং। লোকসভা ভোটের টিকিট না পেয়ে অর্জুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আর তাপস রায় দল এবং দলনেত্রীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করে তৃণমূল ছাড়েন। শুধু তাই-ই নয়, তাপসের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তিনি আভাস পেয়েছিলেন তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেবে না।

একুশে জুলাইয়ে ‘চুপ’ গণতন্ত্র হত্যা দিবস, অন্তর্দ্বন্দ্বেই কী দিশেহারা বিজেপি?

দলবদলু তাপস ও অর্জুন – দু’জনকেই লোকসভার টিকিট দেয় বিজেপি। কিন্তু কলকাতা উত্তরে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গোহারা হারেন তাপস রায়। আর অর্জুন সিং হারেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিকের কাছে। ভোটের পর তাপস কার্যত রাজনীতির ময়দান থেকে উধাও হয়ে যায়। আর অর্জুন আপটপকা মন্তব্য করে খবরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।

ওয়াকিবহল মহলের মন্তব্য, রাজনৈতিক কেরিয়ার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অর্জুন-তাপসের সামনের একটাই রাস্তা খোলা, তা হলে তৃণমূলে যোগ দেওয়া। মমতার কৌশলী মন্তব্য তাঁদেরকে উদ্দেশ্যে করেই বলা, তা এক প্রকার নিশ্চিত। এরপর কী হবে? সেটা আগামী কয়েক মাসেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।

ভারতীয় ডাকে ‘ডিজিটাল বিপ্লব’, আর থাকবে না পিনকোড-রাস্তার নাম