মমতাকে টেক্কা দিতে সভাপতি পদে মহিলা মুখ আনছে বঙ্গ বিজেপি! দৌড়ে কারা?

একুশের বিধানসভা ভোটের পর (BJP West Bengal) চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফলে…

bjp-west-bengal-bengal-bjp-may-appoints-female-state-president-key-leadership-update

একুশের বিধানসভা ভোটের পর (BJP West Bengal) চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফলে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে মমতার মোকাবিলায় রাজ্য সভাপতি পদে মহিলা মুখ আনতে পারে বিজেপি, সূত্রের খবর তেমনটাই।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। রায়গঞ্জের বিদায়ী সাংসদকে এবার দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তৃণমূলের মালা রায়ের কাছে হেরে যান তিনি। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠতার কারণে রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেবশ্রী।

   

আর এক প্রাক্তন সাংসদের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। তিনি হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সনের ভূমিকায় ছিলেন। এবারের লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্রে বিজেপি তাঁকে টিকিট দিলেও তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান তিনি।

উদ্বোধনের কয়েক মাসেই ১৮ কোটির অটল সেতুতে ফাটল! অভিযোগ কংগ্রেসের, মুখ খুলল বিজেপি

এদিকে রাজ্য সভাপতি কাকে করা হবে, তা নিয়ে একেবারেই ‘স্পিকটি নট’ বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে সাংগঠনিক বৈঠকে বসতে পারে বিজেপি। বৈঠকে থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। ওই বৈঠকে ডাকা হতে পারে এবারের পরাজিত সাংসদ এবং প্রার্থীদের।

সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের নতুন বিজেপি সভাপতির নাম চূড়ান্ত হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে হঠাৎ দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই দিন সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হয়, রাজ্যে বিজেপির নতুন সভাপতি হচ্ছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে বিজেপি হাইকমান্ড। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ নির্বাচনভিত্তিক এবং তার মেয়াদ থাকে তিন বছর। এক জন ব্যক্তি একটানা দু’দফায় মোট ৬ বছর সভাপতি থাকতে পারেন। তবে শুধুমাত্র নির্বাচনে ভিত্তিতে নয়, অ্যাড হক ভিত্তিতেও নিয়োগ করা হয়ে থাকে রাজ্য সভাপতিকে।

মোদী সরকারের এই একটা চালে ঘুম উড়েছে মমতার!

দিলীপ ঘোষকে অ্যাড হক ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। পরে সাংগঠনিক নির্বাচনেও তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি থেকে যান। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে দলকে ধরে রাখতে না পারার কারণেই দিলীপের ওপর রুষ্ট হন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আর তাই দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে সেই পদে নিয়ে আসা হয় আরএসএস ঘরানার অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারকে। সুকান্ত দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে পরাজিত করে বালুরঘাট থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন তিনি।

জমে গেল ‘খেলা’, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী দিল কংগ্রেস