মমতার তোষণে বিজয়া সম্মেলনীতে আইটেম ডান্সে বিস্ফোরক বিজেপি

কলকাতা, ১২ অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে, (Bengal Politics)এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কেন্দ্রীয়…

bjp-slams-item-dance-at-bijoya-event-calls-it-mamatas-appeasement-bengal-politics

কলকাতা, ১২ অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে, (Bengal Politics)এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণনীতি ও অরাজকতার কারণে বাংলার সাংস্কৃতিক অধঃপতন ঘটছে।

Advertisements

Advertisements

তিনি দুটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, এগুলোই প্রমাণ করে তৃণমূলের শাসনে বাংলার সংস্কৃতি আজ ধুলোয় মিশছে।প্রথম ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। সেখানে তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিজয়া সম্মিলনীতে ‘অশালীন’ বিনোদনের অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কি বললেন ইউনুস?

দ্বিতীয় ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা নেতাজী বিদ্যালয়ে। এখানে বিজয়া সম্মিলনীর নামে চটুল নৃত্যের আয়োজন করা হয়, যা বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, এই ধরনের অনুষ্ঠানে ‘আইটেম ডান্স’-এর মতো উপাদান বাংলার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে কলঙ্কিত করছে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণনীতির কারণে বাংলার সংস্কৃতি, শিক্ষা ও নৈতিকতা আজ বিপন্ন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা তাদের লুম্পেনবাহিনীর মাধ্যমে এই অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কালীঘাট ও ক্যামাক স্ট্রিটের দুটি কার্যালয় থেকে রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে তিনি কটাক্ষ করেন।

তাঁর মতে, তৃণমূলের এই ‘অপসংস্কৃতির আমদানি’ বাংলার ঐতিহ্যকে মূল থেকে উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত এজেন্ডা।বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, মমতা সরকারের তোষণনীতি শুধু ধর্মীয় বা রাজনৈতিক স্বার্থে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকেও ধ্বংস করছে। “অন্য রাজ্য থেকে আগত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, এমনকি বাংলার মনীষীরাও আজ নিরাপদ নন,” বলেন মজুমদার। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্য গুন্ডা ও দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

বিজেপি দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্রতী জনগণ তৃণমূলের এই ‘অপসংস্কৃতির কফিনে’ শীঘ্রই শেষ পেরেক ঠুকে দেবে। অন্যদিকে, তৃণমূল বলছে, তারা বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করছে। এই বিতর্কে জনগণের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা সময়ই বলবে। তবে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশ্নে এই ঘটনা নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।