HomeBharatবিজেপির নয়া সভাপতির নাম নিয়ে শুরু জল্পনা

বিজেপির নয়া সভাপতির নাম নিয়ে শুরু জল্পনা

- Advertisement -

নয়াদিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর নতুন সভাপতি নির্বাচনের লড়াই এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের লক্ষ্মীকান্ত বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে, যা পার্টির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণের দিকে বড় পদক্ষেপ। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জে পি নদ্দা, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মনসূখ মান্ডভিয়া, ভূপেন্দ্র যাদব, মনোহর লাল খট্টার এবং কিরেন রিজিজু—পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সব বড় নাম।

সূত্র জানাচ্ছে, এই বৈঠকের ফলাফল এই সপ্তাহেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করার পথ প্রশস্ত করতে পারে। জে পি নদ্দার বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোকে নতুন শক্তি দেওয়ার জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বৈঠকটি শুরু হয়েছে সকাল ১০টার দিকে, এবং এখনও চলছে। রাজনাথ সিংহের বাসভবন বিজেপির ‘স্ট্র্যাটেজি হাব’-এর মতো পরিচিত, যেখানে অনেকবার পার্টির বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

   

আগাম বৃষ্টির সম্ভাবনায় কৃষকদের ঘুম উধাও

আজকের এই মিটিংয়ে সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম এবং পার্টির আসন্ন সাংগঠনিক নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। নদ্দা, যিনি ২০২০ থেকে সভাপতির দায়িত্বে আছেন, তাঁর মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু এখন পার্টি নতুন মুখের জন্য অপেক্ষা করছে। এই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ভূপেন্দ্র যাদব সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে গুঞ্জন। মনোহর লাল খট্টারের নামও প্রায়ই উঠছে, যিনি হিসার থেকে নতুন করে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মনসূখ মান্ডভিয়া এবং কিরেন রিজিজু ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।পার্টির অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, নতুন সভাপতির নির্বাচনে তিনটি মূল বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, আঞ্চলিক ভারসাম্য এবং জাতিগত সমীকরণ। বিজেপি এবার ওবিসি বা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর একজন শক্তিশালী নেতাকে সামনে আনতে চায়, যাতে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে পার্টির ভিত্তি আরও মজবুত হয়।

ধর্মেন্দ্র প্রধান, যিনি ওড়িশা থেকে এসেছেন এবং শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে সফলতা দেখিয়েছেন, তাঁর নাম সবচেয়ে এগিয়ে। ভূপেন্দ্র যাদব, পরিবেশমন্ত্রী, যিনি ২০১৯-এর সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, তাঁর অভিজ্ঞতা পার্টির পক্ষে। খট্টারের নামও আলোচনায়, কিন্তু তাঁর বয়স (৭১) একটা চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিনোদ তাওড়ের নামও ফিরে আসছে, যদিও চৌহানের নাম সাম্প্রতিককালে কম শোনা যাচ্ছে।এই বৈঠকের পটভূমিতে রাজনাথ সিংহের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি নিজেও দু’বার সভাপতি ছিলেন (২০০৫ এবং ২০১৩-২০১৪), এবং পার্টির ‘মডারেটর’ হিসেবে পরিচিত। গত মাসে আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ)-এর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাজনাথের বাসভবনেই। আরএসএস চায় এমন কাউকে যিনি মোদী-শাহের ‘কাল্ট অফ পার্সোনালিটি’-এর বাইরে থেকে পার্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নদ্দার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্টির সদস্য সংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে, এবং এখন আরও ৯ কোটি যোগ করার লক্ষ্য। নতুন সভাপতি এই মেম্বারশিপ ড্রাইভকে সফল করতে হবে, এবং ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular