রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম (Dilip Ghosh) সংঘের মহারাজদের একাংশের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপের প্রশ্ন, মৌলবীরা রাজনীতি করতে পারেন, তাহলে সাধু-সন্ন্যাসীদের বাধা কোথায়?
দিলীপের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কাকে কী বলছেন ঠিক নেই। উনি মৌলবীদের দিয়ে রাজনীতি করাতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে নমাজ পড়ে তাঁদের ভোট নিতে পারেন। কেন আমাদের সাধু-সন্ন্যাসীদের কী রাজনীতি করা বারণ আছে নাকি? আজকে হিন্দু সমাজ বিপন্ন। হিন্দু সমাজের মহিলারা বিপন্ন, সেকথা তাঁরা বলবেন না?
সাধু-সন্ন্যাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, সন্ন্যাসী সর্বস্ব ছেড়ে এসেছেন ধর্মরক্ষার জন্য। তাঁরা তো বলতেই পারেন। আর এই ধরনের যে সংস্থাগুলো নাম উনি বলছেন, এরা রাজনীতি করেন না, এরা মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা জাগান, সমাজসেবা করেন, উনি তো দেখেছেন, আয়লা থেকে আরম্ভ করে আমফান থেকে ভূমিকম্পে এই সাধু সন্ন্যাসীরা আগে গিয়ে লোকের সেবা করেছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত।
Mamata Banerjee: সরাসরি রাজনীতি করার অভিযোগ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ-রামকৃষ্ণ মিশনকে তোপ মমতার!
তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির তোপ, ওনার ক্যাডাররা পয়সা মারতে এসেছিল। কিন্তু এই সন্ন্যাসীরা গিয়ে যারা মানুষ, যারা পীড়িত মানুষ, তাঁদের কাছে সবসময় দাঁড়িয়ে মানবতার সেবা করে আসছেন। ভারতবর্ষে এটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এই যে গেরুয়া বসন আর এই ধার্মিক সংগঠন, এদের যে বদনাম করছেন উনি, এ পাপ ওনাকে ডোবাবে।
শনিবার মমতা বলেন, বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে – কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার একটা শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে যে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু মনে করি না। তার কারণ তিনি ডিরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।
রামকৃষ্ণ মিশনকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লি থেকে ওদের কাছে নির্দেশ আসে, বলে একে ভোট দিতে বলো। কিন্তু সাধু, সন্তরা কেন একাজ করবেন? ওদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের যারা দীক্ষা নেন, তাঁরা ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন তো ভোট দেয় না। তাহলে অন্যকে কেন ভোট দিতে বলবে?