SIR-এ কত BLA ? ঘোষণায় চমক বিজেপির

bjp-bla-announcement-bengal-sir-election-strategy

কলকাতা: SIR আবহে ফের চমক দিল বঙ্গ বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মুখে বিজেপি একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিজেপি ঘোষণা করেছে যে, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বুথ-লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) মোতায়েন করবে।

Advertisements

এই এজেন্টরা নির্বাচন কমিশনের বুথ-লেভেল অফিসার (বিএলও)দের সঙ্গে কাজ করে ভোটার তালিকার যাচাইয়ে নজর রাখবে, যাতে কোনো অবৈধ নাম বা ডুপ্লিকেট এন্ট্রি না থাকে। এই ঘোষণা এসেছে ঠিক সেই সময়ে যখন ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যের ৭.৬ কোটি ভোটারের তালিকা পুনর্বিবেচনা শুরু হবে এবং ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। দ্রফট তালিকা ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে, এবং চূড়ান্ত তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ বেরোবে যা ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে।

   

জাতীয় মহিলা কমিশনের ‘মুখোশ খুললেন’ শুভেন্দু? ধন্যবাদ জানালেন কুণাল

বিজেপির এই কৌশল রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা টিএমসি-কে সতর্ক করে তুলেছে।বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের বক্তব্য , “আমরা এসআইআর-কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করব। আমাদের এজেন্টরা প্রতিটি বুথে নজর রাখবে যাতে ‘অবৈধ অভিবাসী’ বা মৃত ভোটারের নাম না থাকে।

বিজেপির মতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে আমরা ৫০-৫৫ হাজার বুথ কভার করেছিলাম, এবার সংখ্যা আরও বাড়াব। এটা আমাদের সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ।” এই এজেন্টরা বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেমন উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা অগ্রাধিকার পাবে, যেখানে অভিবাসীদের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।

Advertisements

বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এসআইআর না হলে বিধানসভা নির্বাচনই হবে না। আমরা এক কোটিরও বেশি নাম কাটার দাবিতে দাঁড়িয়ে আছি।” দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, এই ৫০ হাজার এজেন্টের মধ্যে ৭০ শতাংশ নতুন কর্মী, যারা গ্রামস্তরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এটা বিজেপির ২০২৬-এর নির্বাচনী প্রস্তুতির একটা বড় অংশ, যাতে তারা টিএমসি-র ভোটব্যাঙ্ককে চ্যালেঞ্জ করছে।

এই এসআইআর রাজ্যের রাজনীতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। বিজেপির ৫০ হাজার এজেন্ট মোতায়েন করে তারা দেখাচ্ছে যে, তারা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি ৭৭ আসন পেয়েছিল, কিন্তু লোকসভায় তারা পিছিয়ে পড়েছে। এবার এই প্রক্রিয়া দিয়ে তারা টিএমসি-র ভোটব্যাঙ্ককে দুর্বল করতে চায়।

টিএমসি, যারা ২১৩ আসন নিয়ন্ত্রণ করে, এখন প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লড়াই স্বচ্ছতা বনাম সন্দেহের মধ্যে। যদি বিজেপির এজেন্টরা সফল হয়, তাহলে অবৈধ নাম কাটায় সাহায্য করবে; কিন্তু টিএমসি-র দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বৈধ ভোটাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিএলওদের প্রশিক্ষণ চলছে, এবং ১৮,৩৪০ বিএলএ-২ ফর্ম জমা পড়েছে।