HomeBharatবিহার SIR কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেল বিরোধীরা

বিহার SIR কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেল বিরোধীরা

- Advertisement -

নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর: ভারতের রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর জন্য এক বড় ধাক্কা এসেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোকে কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। মুখ্য বিচারপতি সুর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছেন, “বিহারে SIR-এর পর মৃত্যু, স্থানান্তর বা দ্বৈত নামের কারণে বাদ দেওয়া কোনো ভোটারের দ্বারা চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।”

এই মন্তব্য বিরোধীদের ‘ভোট চুরি’ তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, যা বিজেপি নেতারা তীব্রভাবে ব্যবহার করে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে এবং গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতার পক্ষে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে, যা আসন্ন নির্বাচনের পটভূমিতে রাজনৈতিক মহড়া তৈরি করেছে।

   

বিদেশি সম্পদ গোপন? করদাতাদের জন্য CBDT-এর নতুন সতর্কবার্তা

সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চ, যাতে বিচারপতি জয়মল্য বাগচীও ছিলেন, ২৬ নভেম্বরের শুনানিতে ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস অ্যাসোসিয়েশন (এডিআর) এবং অন্যান্য সিভিল সোসাইটি গ্রুপের আবেদন শুনেছিলেন। আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন যে, SIR প্রক্রিয়া অযৌক্তিক এবং লক্ষ লক্ষ যোগ্য ভোটারকে বঞ্চিত করছে, বিশেষ করে মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। কিন্তু মুখ্য বিচারপতি কান্ত স্মরণ করিয়ে দিলেন, “আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে বিহারে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে।

আমরা তখন প্যারালিগাল ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করে আপিলের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু একজনও ভোটার এসে চ্যালেঞ্জ করেনি।”কোর্ট আরও যোগ করেছেন, “মৃত্যু, স্থানান্তর বা দ্বৈততার কারণে বাদ দেওয়া সঠিক বলে মনে হচ্ছে।” এই মন্তব্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গিয়েছে, যারা বলেছে যে, SIR একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা ২০ বছরের অ্যাকিউমুলেটেড ত্রুটি সংশোধন করে। বিচারপতি বাগচী বলেছেন, “২০১২ এবং ২০১৪-এ ভোটারের সংখ্যা প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

এটি সংশোধন না করলে কী হবে?” কোর্ট SIR-কে থামানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যেকোনো ত্রুটি শনাক্ত হলে সংশোধনের নির্দেশ দেবে। বিহারে SIR জুন ২০২৫-এ শুরু হয়, যা জানুয়ারি ২০২৫-এর তালিকা থেকে শুরু করে। প্রক্রিয়ায় ৬৮ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে—মৃত্যুর কারণে ২০ লক্ষ, স্থানান্তরে ২৫ লক্ষ এবং দ্বৈত নামে ২৩ লক্ষ। নতুন ২৪ লক্ষ যোগ করে নেট ৪৪ লক্ষ কমেছে।

বিরোধীরা বলেছিল, এটি বিজেপি-জেডিইউ জোটের লাভের জন্য অপোজিশন ভোটারদের লক্ষ্য করে। কিন্তু নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনে NDA জয়ী হলেও, ডেটা দেখাচ্ছে যে, বাদ দেওয়ার হার এবং NDA-এর ভোট শেয়ারের মধ্যে কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামুর কনস্টিটুয়েন্সিতে AIMIM-এর আখতারুল ইমানের মতো নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোনো ভোটার আদালতে আসেননি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular